সন্ত্রাস ও জিহাদের পার্থক্য


লড়াই যখন আল্লাহর জন্য, আল্লাহর রাসুলের জন্য ও তাঁর দীনের জন্য হয় এবং তা সেই পন্থায় হয়, যা শরিয়াহ নির্দেশিত বা শরিয়াহ অনুমোদিত তখন সেটাকে জিহাদ বলা হয়।

আর লড়াই যখন আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর দীনের জন্য না হয়ে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয় এবং তা শরিয়াহ নির্দেশিত বা শরিয়াহ অনুমোদিত পন্থায় না হয়ে অন্য কোনো পন্থায় হয় তখন সেটাকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বলে।

সুতরাং জাতীয়তাবাদ রক্ষার লড়াই, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই, অনৈসলামি সাম্রাজ্য বিস্তৃতির লড়াই ইত্যাদি সবই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। একইভাবে জিহাদের নামে মুসলিম জনসাধারণকে টার্গেট করে হামলা চালানো, উম্মাহর আলিম ও মুজাহিদদেরকে হত্যা করা ইত্যাদি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। আর আল্লাহর জমিনে আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে পরিচালিত শরিয়াহ নির্দেশিত বা অনুমোদিত আগ্রাসী বা প্রতিরোধমূলক চেষ্টা-প্রচেষ্টাই হলো প্রকৃত জিহাদ।

যারা জিহাদ ও সন্ত্রাসকে মিলিয়ে ফেলে, তারা নিরেট অজ্ঞ ও মূর্খ বৈ কিছু নয়। যারা সন্ত্রাসকে জিহাদ বলে বা জিহাদকে সন্ত্রাস বলে, তারা সবাই ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর দুশমন। আর যারা সন্ত্রাস প্রতিরোধের স্বার্থে জিহাদের সংজ্ঞাকেই আমূল বিকৃত করে উপস্থাপন করে, তারা মুলহিদ, মুনাফিক ও জিন্দিক।

জিহাদ সত্য। সন্ত্রাস মিথ্যা। জিহাদ হক। সন্ত্রাস বাতিল। জিহাদ ন্যায়। সন্ত্রাস অন্যায়। তাবলিগের মেহনত করতে হলে যেমন কাকরাইল, রায়বেন্ড আর নেজামুদ্দীন ছাড়া গতি নেই; অমুসলিমদের মধ্যে দাওয়াতের মেহনত করতে গেলে যেমন দাওয়াতে ইসলাম ছাড়া জো নেই; আত্মশুদ্ধির জন্য যেমন তাওহিদবাদী শাইখ ও হক্কানি পিরের সোহবত ছাড়া বিকল্প নেই; জ্ঞানচর্চার জন্য যেমন মাদরাসাগুলোর মতো সহজ কোনো মাধ্যম নেই, একইভাবে জিহাদ বুঝতে চাইলে প্রকৃত মুজাহিদিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বই পড়ে জিহাদ চেনা যায় না। অনলাইন ঘেঁটে জিহাদ বোঝা যায় না। আলিমকে দেখে যেমন ইলম চেনা যায়, মুজাহিদকে দেখেও তেমন জিহাদ বোঝা যায়। মাদরাসার ছাত্রকেও যেমন দাওয়াতের মেহনত করতে চাইলে মারকাজের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়, একজন আলিমকেও জিহাদ করতে চাইলে মুজাহিদিনের গাইডলাইন ফলো করতে হয়। খানকাহে যেমন সাধারণ আলিমের কর্তৃত্ব চলে না, ময়দানেও তেমন অমুজাহিদ আলিমের নেতৃত্ব বা পণ্ডিতি চলে না।

যারাই জিহাদের বিরোধিতা করে বা সন্ত্রাস ও জিহাদকে মিলিয়ে ফেলে, তারা এ সম্পর্কে না কোনো জ্ঞান অর্জন করেছে আর না বাস্তবতা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা আছে। তারা নিজেদেরকে বুদ্ধিজীবী ভাবতে পারে। কিন্তু আদতে তারা কূপমণ্ডূক বৈ কিছু নয়।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পার্থক্য

‘জঙ্গি হলো তারা, যারা এক ধরনের আগ্রাসী মনোভাব বা আচরণ করে৷ এই আগ্রাসী মনোভাব সহিংস নাও হতে পারে৷ অর্থাৎ সে সহিংস ঘটনা নাও ঘটাতে পারে৷ আর সন্ত্রাসী হলো তারা, যাদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে৷ তারা নির্বিচারে হামলা চালায় এবং সহিংসতাকে তারা রাজনৈতিক একটা হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগায়৷

যেমন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে কি আমরা সন্ত্রাসী বলব? অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিন্তু তারা সন্ত্রাসী নয়৷ আবার জঙ্গি বলতে আমরা বিদ্রোহী বা সন্ত্রাসী দুই ধরনের লোককেই বোঝাব৷ সন্ত্রাসী হলো এমন ব্যক্তি, যে সুনির্দিষ্টভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেসামরিক লোকজনের উপর কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করছে।

সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসী এই শব্দটা ফরাসি বিপ্লব থেকে শুরু হয়েছে৷ আর জঙ্গি কথাটা জাং বা যুদ্ধ থেকে এসেছে৷ যারা যুদ্ধে লিপ্ত তাদের জঙ্গি বলা হতো৷ সময়ের ব্যবধানে এর অর্থেরও পরিবর্তন হয়ে যায়৷ এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, সহিংস উগ্রবাদ কিন্তু শুধু ধর্মের থেকেই তৈরি হয় না৷ এটা জাতীয়তাবাদ থেকেও হতে পারে, আইডেন্টিটির প্রশ্নে হতে পারে, কখনো কখনো আত্মপরিচয়ের প্রশ্নেও হতে পারে।

একই ধরনের আদর্শভিত্তিক হামলা, অথচ কোনোটাকে বলা হচ্ছে সন্ত্রাসী হামলা, আবার কোনোটাকে বলা হচ্ছে জঙ্গি হামলা, এর কারণ হলো, এটা একেক দেশে একেক রকম হতে পারে৷ নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা, বা পলিসিমেকার যারা তারা সেটাকে কীভাবে দেখছেন, এর আলোকে এই শব্দগুলো প্রয়োগ হয়। এগুলোর কিন্তু কোনো স্থায়ী সংজ্ঞা নেই৷ যেমন ধরুন, জাতিসংঘে কাউন্টার টেররিজম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হয়েছে৷ তার কিছু মডেল তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু টেররিজম প্রশ্নে কেউ সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞায় আসতে পারেননি৷’ (সংক্ষেপিত)

ওপরের কথাগুলো কিন্তু আমার নয়। কথাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রিয়াজের। প্রথম আলো’র পাঠকদের কাছে যিনি এক পরিচিত নাম। এক সাক্ষাৎকারে উপরিউক্ত কথাগুলো তিনি বলেছেন।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। বাস্তবতা এটাই যে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শব্দের সর্বসম্মত সংজ্ঞা এখনো কোনো দেশ বা সংগঠনই আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি। যার কারণে যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করে, তাদের সবার অবস্থা এক নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইসলামে জঙ রয়েছে। কারণ, ইসলাম তার অনুসারীদেরকে জিহাদের শিক্ষা দেয়। বিষয়টাকে যারা এভাবে মূল্যায়ন করে, তারা জঙ্গিবাদ শব্দটিকে ইসলামসম্মত হিসেবে দেখে। অপরদিকে যারা বিষয়টা এভাবে দেখে যে, জিহাদ শব্দটি সীমিত। জঙ শব্দটি ব্যাপক। ইসলাম যুদ্ধমাত্রকেই অনুমোদন দেয় না। বরং যে যুদ্ধ একমাত্র আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও তাঁর দীনের জন্য হয় এবং যা শরিয়াহ নির্দেশিত বা অনুমোদিত পন্থায় হয়, সেটাকেই শুধু অনুমোদন দেয়। সুতরাং এমন হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয় যে, ইসলামের নামে কোনো লড়াই হচ্ছে, অথচ তা মোটেও ইসলামি নয়। অথবা ইসলামের নাম ছাড়াই জাতীয়তাবাদী চেতনায় কিংবা অন্য কোনো কারণে আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, সেটা কিন্তু জঙ্গিবাদ হলেও ইসলামসম্মত কখনোই নয়। তো যারা বিষয়টাকে এভাবে দেখে, তারা জিহাদ ও জঙ্গিবাদকে সম্পূর্ণ আলাদা মনে করে। তাদের দৃষ্টিতে ইসলামসম্মত লড়াইকে জিহাদ বা কিতাল বলা হয় আর ধর্মের বন্ধনমুক্ত যেকোনো সাধারণ লড়াইকে জঙ বা যুদ্ধ বলা হয়।

যেহেতু জঙ বা জঙ্গিবাদ (যুদ্ধ-সংক্রান্ত মতবাদ) শব্দের সর্বজনস্বীকৃত স্থায়ী সংজ্ঞা নেই, তাই যে ব্যক্তি এর পক্ষে বা বিপক্ষে আলোচনা করছে, তার অবস্থা ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী এর মূল্যায়ন হবে। যেমন, সেকুলার মিডিয়া সাধারণত ধর্মের নামে সংঘটিত বৈধ বা অবৈধ যেকোনো লড়াইকে ঢালাওভাবে জঙ্গিবাদ নামে নামকরণ করে থাকে। কিছু আলিমরূপী অথর্বও এই কাজ করে থাকে। এরপর তারা জিহাদের ব্যাখ্যা করে দুভাবে : (১) নিজের কুরিপুকে দমন করে আত্মিক সংশোধনই জিহাদ; (২) জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ের অপর নাম জিহাদ। সুতরাং তাদের জঙ্গিবাদবিরোধী কথাগুলো যে স্পষ্ট জিহাদবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত হবে, এতে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়।

অপরদিকে যারা বৈধতা-অবৈধতার ভিত্তিতে শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্য করে, তাদের বিষয় আলাদা। কারণ, যুদ্ধ মাত্রই জিহাদ নয়। জিহাদ এবং যুদ্ধ সমার্থক শব্দ নয়। কিছু কিছু যুদ্ধ জিহাদ। তবে সব যুদ্ধ জিহাদ নয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ট্রাজেডিকেও জিহাদ বলার সুযোগ কোথায়! অপরদিকে মক্কাবিজয়ের মতো রক্তপাতহীন প্রচেষ্টাকেও তো জিহাদের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর জীবদ্দশায় যে ২৭টি জিহাদে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার অধিকাংশগুলোতেই তো কোনো লড়াই সংঘটিত হয়নি। প্রত্যক্ষ জঙ না হলেও সেগুলো সবগুলোই ছিল জিহাদ। অপরদিকে যুগে যুগে মুসলিম খলিফাদের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতিকারীদের পক্ষ থেকে যে সহিংস সশস্ত্র আন্দোলন করা হয়েছে, তা জঙ হলেও জিহাদ কিন্তু কখনোই নয়। একইভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনা থেকে পরিচালিত আগ্রাসী আচরণও জঙ্গিবাদ বটে; যদিও তা জিহাদ নয়।

মোদ্দাকথা হলো, জঙ শব্দটি দ্ব্যর্থবোধক। এর পক্ষে-বিপক্ষে যেকোনো কথা মূল্যায়িত হবে বক্তার অবস্থা ও ব্যাখ্যা অনুসারে। একইভাবে শরয়ি পরিভাষা জিহাদকেও আজকাল দ্ব্যর্থবোধক বানিয়ে ফেলা হয়েছে। যার কারণে সুফিবাদী জিহাদ, সেকুলার জিহাদ ও ইসলামি জিহাদের মতো তিনটা বড় বড় ভাগের সূত্রপাত ঘটেছে। এসব কারণেই কারও কারও জঙ্গিবাদবিরোধী কথাকেও জিহাদবিরোধী কথা হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কারও বা ‘বড় জিহাদবিরোধী’ কথাকেও জিহাদবিরোধী কথা হিসেবে গণ্য করা হয়।

যারা জিহাদ শব্দের অপব্যাখ্যা করে, তারা কুরআন-সুন্নাহর হাজারো আয়াত-বর্ণনাকে অস্বীকার করে। আর তাই তাদেরকে মুলহিদ ও জিন্দিক বলা হয়। অপরদিকে যারা জিহাদ ও জঙ্গিবাদকে মিলিয়ে ফেলে এক কিম্ভূতকিমাকার মতের সূত্রপাত ঘটায় এবং যেকোনো লড়াই (তা আল্লাহর দীনের জন্য হোক বা না হোক, শরিয়াহ অনুমোদিত পন্থায় হোক বা শরিয়াহ বহির্ভূত পন্থায় হোক)-কে ইসলামি জিহাদ বিবেচনা করে তার সমর্থন দেয়, তারাও নিতান্ত অজ্ঞ ও অর্বাচীন বৈ কিছু নয়। শেষকথা হলো, জিহাদের মধ্যে যুদ্ধ রয়েছে, তবে সব যুদ্ধই জিহাদ নয়। সুতরাং ইসলামে যুদ্ধ-সংক্রান্ত মতবাদ রয়েছে, তবে যুদ্ধ-সংক্রান্ত সব মতবাদই ইসলামসম্মত নয়। জঙ্গিবাদের ব্যাখ্যার মধ্যে যেহেতু তারতম্য রয়েছে, তাই জঙ্গিবাদবিরোধী ফাতওয়া দিয়েও কেউ মুলহিদ হতে পারে আবার ঢালাওভাবে জঙ্গিবাদের সাফাই গেয়েও কেউ গোমরাহ হতে পারে।

যাদের এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, তারা ইরহাব শব্দের দিকেও তাকাতে পারেন। কুরআনে মুমিনদের গুণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তারা ইরহাব করে। অর্থাৎ আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের শত্রুকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখে। এই ত্রাস সৃষ্টি ও ভীতি সঞ্চার একটি উত্তম বৈশিষ্ট্য। অপরদিকে একই ইরহাব যদি আল্লাহর জন্য ও তার দীনের জন্য না হয় এবং তা শরিয়াহ নির্দেশিত বা অনুমোদিত পন্থায় না হয় তখন আর সমর্থনযোগ্য থাকে না। বরং তখন তা হারাম ও কবিরা গুনাহে পরিণত হয়। সুতরাং জঙ্গিবাদ নিয়ে যে কথা, ইরহাব বা সন্ত্রাস নিয়েও কিন্তু একই কথা।

পুনশ্চ : বেদনাকে বলেছি কেঁদো না

“এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”

এ দুটি লাইন শোনেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকামারা হয়েছে কবিতার এ দুটি লাইন। কবিতার নাম ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’। কবির নাম হেলাল হাফিজ। একটি মাত্র কবিতার বই দিয়ে বাংলা সাহিত্যে হয়েছেন অমর। নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। তার ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটির কবিতাগুলো যেন একেকটি প্রেম আর দ্রোহের খনি। ভাষার এমন সুন্দর ব্যবহার, শব্দের এমন চমৎকার চয়ন, বিমোহিত করে তাবৎ কাব্যপ্রেমীকে।

তবে মজার বিষয় হলো, ওপরের দুটো পংক্তি দিয়ে কবি পেয়েছেন খ্যাতি। পেয়েছেন ফ্যানদের ভালোবাসা। কিন্তু একই পংক্তি বা এর সমার্থক অন্য কোনো বক্তব্য-বিবৃতি যদি আমাদের মুখ থেকে উচ্চারিত হয় তবে আমরা হয়ে যাই উগ্রবাদী, উগ্রচাষী। এমনকি আমাদের মুসলিমদের কালিমা থেকেও কেউ-বা খুঁজে পায় উগ্রতার গন্ধ; যদিও একই কালিমা বিকিয়ে কতক মৌলবি পেয়ে যায় ট্রাম্পের দাওয়াত আর জাতিসংঘের সন্দর্ভ।

পরিশেষে কবির ভাষায়ই বলতে হয় :

“কে আছেন?
দয়া করে আকাশকে একটু বলেন-
সে সামান্য উপরে উঠুক,
আমি দাঁড়াতে পারছি না।”

Share This