১.

আমাদের এই নিবন্ধের উদ্দেশিত পাঠক তারা, যারা দ্বীনের ওপর চলতে চান, ব্যক্তিজীবনে শরিয়াহর অনুশাসন মানতে চান। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেহেতু বর্তমানে সকল শ্রেণির মানুষের সরব উপস্থিতি, তাই বিভিন্ন প্রয়োজনে দ্বীনদার নারী-পুরুষের মধ্যে আলাপন হয়। কখনো তা হয় কমেন্টে, কখনো তা এই সীমানা অতিক্রম করে ইনবক্স পর্যন্ত গড়ায়। এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্য খারাপ থাকে না। দ্বীনি কোনো জরুরতে বা দুনিয়াবি কোনো প্রয়োজনেই এই আলোচনার সূত্রপাত হয়। তবে কখনো কখনো এবং কারো কারো ক্ষেত্রে (বরং অনেকের ক্ষেত্রেই) একপর্যায়ে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিঃস্বার্থ সম্পর্ককে কোনো স্বার্থ— কামনা-প্রত্যাশা দখলে নিয়ে নেয়। এ পর্যায়ে এসেও সাধারণত তারা নিবৃত্ত হন না, বরং ভালো কোনো উদ্দেশ্যের কথা নিয়তে এনে —যেমন বিয়ে— এই ধারা অব্যাহত রাখেন। একসময় যা সূচিত হয়েছিলো স্রেফ প্রয়োজনের ভিত্তিতে বা অন্য কোনো ভালো নিয়তে, পরিশেষে তাই রূপ নিচ্ছে ভালোবাসা এবং প্রেমে। হাঁ, এভাবে চলতে চলতে ছবি দেয়া-নেয়া, স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচার-কথাবার্তার ধারাও কখনো এই যুগলের মধ্যে অস্তিত্ব লাভ করে। কখনোবা এই সম্পর্কের সূত্র ধরে বাস্তবিক জীবনেও দু’জন পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়। তবে এর দৃষ্টান্ত বোধহয় খুব বেশি নয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শরিয়াহর এমন সীমালঙ্ঘন এবং হালাল প্রেমের ব্যানারে হারাম কর্মকাণ্ডের পরিণতি সুখকর হয় না, বরং তা ডেকে আনা হতাশা ও প্রচণ্ড নৈরাশ্য; আখের যা কাউকে কাউকে শরিয়াহর আলোকে আলোকিত জীবনের চৌহদ্দি থেকে বের করে নিয়ে যায় অন্ধকার জগতের দিকে, বা শরিয়াহর পথে থাকলেও ভেতরটা ছেয়ে যায় আঁধারে।

 

২.

আল্লামা বাহুতি রহ. তার সুবিখ্যাত গ্রন্থ ‘কাশশাফুল কিনা’তে বলেন—

وإن سلَّم الرجل عليها -أي على الشابَّة- لم تردَّه؛ دفعاً للمفسدة

কোনো পুরুষ যদি যুবতী নারীকে সালাম দেয়, তাহলে সে সালামের জবাব দেবে না— অনিষ্ট প্রতিরোধের স্বার্থে।

আল্লামা খাদিমি হানাফি রহ. ‘বারিকাতুন মাহমুদিয়াহ’ গ্রন্থে বলেন—

التكلم مع الشابة الأجنبية لا يجوز بلا حاجة؛ لأنه مظنة الفتنة

একান্ত কোনো প্রয়োজন ছাড়া গাইরে মাহরাম তরুণীর সাথে কথা বলা জায়িয নেই; কারণ, তা ফিতনার ক্ষেত্র।

শুধু এ-দু’জনই নন। অসংখ্য ইমাম এবং ফকিহের বক্তব্যে এ কথা পাওয়া যায় যে, তারা পরনারীর সাথে একান্ত কোনো প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা, এমনকি সালাম আদান-প্রদানকেও বৈধতার দৃষ্টিতে দেখতেন না। কারণ, এই ক্ষেত্রটি ফিতনার ক্ষেত্র। কুরআনে অনেক গুনাহের ব্যাপারেই আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা সেগুলোতে লিপ্ত হয়ো না। কিন্তু শুধু একমাত্র ব্যভিচারের ব্যাপারে বলেছেন যে, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না”। কারণ, মানুষকে সৃষ্টিই করা হয়েছে দুর্বলরূপে। পুরুষমাত্রই নারীর প্রতি দুর্বল। তাই এক্ষেত্রে পদস্খলনের শঙ্কা অনেক বেশি। কতো বড় বড় আল্লাহওয়ালা বুযুর্গেরও এখানে এসে অজান্তে পদস্খলন ঘটে গেছে। মহান আল্লাহ যেহেতু বান্দার এই দুর্বলতার কথা জানেন, তাই তিনি এই কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন। অর্থাৎ, ব্যভিচার করার তো প্রশ্নই আসে না, বরং তার সীমানার আশপাশেও এসো না, তোমাকে কোনো একসময়ে ব্যভিচারে লিপ্ত করতে পারে—এমন সম্ভাবনার ক্ষেত্র থেকেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখো। “তোমরা গুনাহের পথ ছেড়ে আল্লাহ তাআলার দিকে পলায়ন করো। আমি তো এ ব্যাপারে তোমাদেরকে সুস্পষ্ট সতর্ককারী।”

 

৩.

ইসলামি শরিয়াহ এবং ফিকহের কিছু সর্বব্যাপী মূলনীতি রয়েছে, যা সর্বযুগে সর্বস্থানে প্রযোজ্য। এই মূলনীতিগুলো কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা ও বিধিবিধান থেকেই আহরিত। শরিয়াহর এমন বিশেষ তিনটি মূলনীতি হলো—

ক. سـدّ الذرائع তথা উপায়-উপলক্ষ্যকে বন্ধ করা বা গুনাহে লিপ্ত করার আশঙ্কা রয়েছে—এমন সকল দুয়ারকে রুদ্ধ করা।

খ. درء المفاسد مُقدّم على جلب المصالح তথা অনিষ্ট রোধ করা উপকার অর্জন করার ওপর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। অর্থাৎ কোনো কাজ এমন যে, যদি তা করা হয়, তাহলে তাতে ভালো-মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। ভালো দিকটির দাবি হলো, সেই কাজটি করা হবে। আর মন্দ দিকটির দাবি হলো, সেই কাজটি পরিহার করা হবে। এখন এক্ষেত্রে মন্দ দিকটিকেই প্রাধান্য দিয়ে বলা হবে, এই কাজ করো না, নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে এনো না।

গ. ما أفضى إلى مُحرّم فهو مُحرّم তথা যা-কিছু হারামের দিকে পৌঁছায়, তাও হারাম। অর্থাৎ, কোনো কাজ যদি এমন হয় যে, যদি তাতে কেউ লিপ্ত হয়, তাহলে একপর্যায়ে সে হারামে লিপ্ত হবে, তাহলে তার প্রথম কাজটিকেও হারাম বলা হবে।

উপরিউক্ত মূলনীতিগুলোর দাবি হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নারী-পুরুষের পারস্পরিক আলাপনকে অবৈধ বলা হবে, যেহেতু তাতে তিনওটি মূলনীতি পূর্ণাঙ্গভাবে প্রয়োগ হচ্ছে। শরিয়াহর অনেক বিধানের ক্ষেত্রেই এই মূলনীতিগুলোর বিবেচনা করা হয়েছে। যেমন কুরআনে বলা হচ্ছে—

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا

তারা আপনাকে মদ এবং জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, এ-দু’টিতে রয়েছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য কিছু উপকার। আর এ-দু’টোর পাপ তার উপকার অপেক্ষা গুরুতর।

অর্থাৎ যদিও তাতে উপকারি দিক রয়েছে, কিন্তু উপরিউক্ত দ্বিতীয় মূলনীতির আলোকে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং উপকার থাকা সত্ত্বেও তার বৈধতার অনুমোদন দেয়া হয় নি।

তেমনি আল্লাহ বলছেন—

و لا تسبوا الذين يدعون من دون الله فيسبوا الله عدواً بغير علم

“তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে-সকল উপাস্যকে ডাকে, তোমরা সেই উপাস্যদেরকে গালমন্দ করো না। নইলে তারা প্রতিশোধবশত না জেনে আল্লাহকেও গালমন্দ করবে।” অর্থাৎ উপলক্ষ্য থেকেও সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু না ঘটে যায়।

যেহেতু এসব যোগাযোগমাধ্যমে পারস্পরিক আলাপন মানুষকে গুনাহে লিপ্ত করার এবং এর মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি শরিয়াহর সীমানা অতিক্রম করার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে, তাই ফিকহি দৃষ্টিকোণ থেকে এ কাজের সাধারণ অনুমতি প্রদান করার অবকাশ নেই।

এখন কেউ যদি ভবিষ্যতে বিয়ের বন্ধনে জড়াবে—এমন নিয়তের ভিত্তিতে এমনটা করে থাকে, তাহলে তাকে বলা হবে, বিয়ের বিষয়টি তো সুনিশ্চিত কিছু নয়, স্রেফ ধারণা ও নিরেট সম্ভাবনা। যা হতেও পারে, নাও হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কারণে এ ধরনের বিষয় বৈধ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে অবৈধতার বিষয়টি সুদৃঢ় ও তার প্রামাণিকতা সুনিশ্চিত, পক্ষান্তরে বিয়ের বিষয়টি নিতান্ত দুর্বল এবং স্রেফ ধারণা ও অনুমান। আর শরিয়াহর মূলনীতি হলো, “যা সুনিশ্চিত, তা ধারণার কারণে দূর হয়ে যায় না।” اليقين لا يزول بالشك

 

৪.

কেউ নিজের ব্যাপারে সুধারণা রেখে এ কথা বলতে পারে যে, আমার ইমান আলহামদুলিল্লাহ এতোটা দুর্বল নয়, তাছাড়া নারীদের প্রতিও আমার এতো উপচে পড়া আকর্ষণ নেই যে, একজনের সাথে স্রেফ দু-চার কথা বললেই আমার মন তার দিকে ঝুঁকে যাবে এবং আমি রীতিমতো তার প্রেমে জড়িয়ে যাবো। এই ব্যক্তির উচিত রাসুলুল্লাহ সা. এর হাদিসকে স্মরণ করা, তিনি বলছেন—

من سمع منكم بخروج الدجال فلينأ عنه ما استطاع ، فإن الرجل يأتيه وهو يحسب أنه مؤمن ، فما يزال به حتى يتبعه مما يرى من الشبهات

“তোমাদের কেউ দাজ্জালের আবির্ভাবের সংবাদ শুনতে পেলে সে যেনো যথাসম্ভব দাজ্জালের থেকে দূরে থাকে। কারণ, কোনো লোক দাজ্জালের কাছে এমতাবস্থায় আসবে যে, তার ধারণা থাকবে যে, সে তো ভালো মুমিন। অনন্তর দাজ্জালের সৃষ্ট সংশয়সমূহ প্রত্যক্ষ করে সে তার অনুসরণ করে বসবে।”

এজন্য শরিয়াহর শিক্ষা হলো, ফিতনার ক্ষেত্র থেকে দূরে থাকা। কারণ, ফিতনা মানে হলো পরীক্ষা। আর পরীক্ষায় অনেক সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও মানুষ ব্যর্থ হয়ে যায়। মুমিনের জন্য নিজ ইমানকে জেনেবুঝে ফিতনায় ফেলা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ, ফিতনা হলো পদস্খলনের জায়গা, এতে রয়েছে বিচ্যুতি এবং ভ্রষ্টতার সমূহ শঙ্কা। তাই ফিতনার ব্যাপারে প্রয়োজন চূড়ান্ত সতর্কতা। আর রাসুলুল্লাহ সা. তো বলেছেনই—

“আমি আমার পরে পুরুষের জন্য নারী অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকারক কোনো ফিতনা রেখে যাই নি।”

 

৫.

এরপরও একান্ত যদি নারী-পুরুষের আলাপনের প্রয়োজন দেখা দেয়, যেক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে নক করা ছাড়া কোনো বিকল্পই নেই (এমন অবস্থা বাস্তবে বিরল। অন্তরে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা থাকলে বিকল্প একটা না একটা বের হয়ই। আর অন্তর এবং মানসিকতা যদি প্রস্তুত না হয়, তাহলে তো কতো অজুহাতই তৈরি হয়। শয়তানও এসকল অজুহাতকে দৃষ্টিপটে সুশোভিত করে উপস্থাপন করে, যেমনটা সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ বলেছেন।), সেক্ষেত্রেও উভয়ের জন্য শরিয়াহর চারিত্রিক শিক্ষা এবং শিষ্টাচার-সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রতি পূর্ণরূপে লক্ষ রাখা জরুরি। যেমন আল্লাহ বলেছেন—

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

যদি তাদের কাছে তোমরা কোনো সামগ্রী চাও, তাহলে অবশ্যই পর্দার আড়াল থেকে চাবে। এ পন্থা তোমাদের অন্তর এবং তাদের অন্তর অধিকতর পবিত্র রাখার পক্ষে সহায়ক হবে।

إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلاً مَعْرُوفًا

যদি তোমরা তাকওয়া ধারণ করে থাকো, তাহলে কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, পাছে অন্তরে ব্যাধি আছে—এমন ব্যক্তি লালায়িত হয়ে পড়ে। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।

এ বিষয়গুলো বাস্তবিক কথাবার্তার ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, অনলাইন আলাপচারিতার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই প্রয়োজনীয় কথাবার্তা প্রয়োজন পরিমাণই হওয়া উচিত, আর এক্ষেত্রেও প্রয়োজনের সীমারেখা রক্ষা করে তা হওয়া উচিত। শরিয়াহর মূলনীতি হলো, “জরুরত নিষিদ্ধ কাজকেও বৈধতা দেয়, আর জরুরতের কারণে বৈধতা লাভ করে—এমন বিষয় জরুরত পরিমাণই বৈধ থাকে।”

الضرورة تبيح المحظورات، الضرورة تتقدر بقدر الضرورة.

তাই প্রয়োজন পরিমাণ কথাবার্তার ক্ষেত্রেও সতর্কতার সাথে এমন সকল উপায়-উপকরণ পরিহার করা উচিত, যাতে একজনের অন্তর অপরজনের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, অজান্তে বা অনিচ্ছাসত্ত্বেও কেউ কারো দিকে ঝুঁকে যেতে পারে। এক্ষেত্রেও সবিশেষ লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এমন প্রয়োজনীয় আলাপনের বিষয়টিও পাবলিক প্লেসে হওয়া উচিত, যেমন কমেন্টবক্সেই প্রয়োজনীয় আলাপচারিতা সেরে নেয়া উচিত; এমন কোথাও না হওয়াটাই কাম্য, যেখানে বিষয়টি শুধু দু’জনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে, তৃতীয় কেউ তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর থাকে, যেমন ইনবক্স। কারণ, নারী-পুরুষ দু’জন কোথাও একান্ত হলে, তাদের মাঝে তৃতীয় আরেকজনের আগমন ঘটে, আর সে হলো শয়তান। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন—

“নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের শরীরে এমনভাবে চলাচল করে, যেমন রক্ত চলাচল করে। আমি শঙ্কাবোধ করেছি যে, শয়তান তোমাদের দু’জনার অন্তরে খারাপ কিছু উদ্রেক করতে পারে।” {সহিহ বুখারি: ৩২৮১, ২০৩৮; সহিহ মুসলিম: ২১৭৪, ২১৭৫; সুনানু আবি দাউদ: ২৪৭০, ৪৯৯৪}

তেমনি প্রয়োজনীয় আলোচনা ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত পরিচয়, তথ্য আদান-প্রদান করা থেকেও বিরত থাকবে। এরপরও একান্ত যদি একজনের মন অন্যজনের দিকে কোনোভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে বা অচিরেই আকৃষ্ট হয়ে যাবে—এমন সম্ভাবনা বোধ করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ পারস্পরিক আলোচনার চির ইতি টেনে আল্লাহর দিকে অভিমুখী হবে এবং তার কাছে সৎকর্ম করার এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে শক্তি ও সাহায্য প্রার্থনা করবে।

Share This