যারা বলে, বাংলাদেশ আর ভারতের পরিস্থিতি এক নয়, তাই সেখানে সকল অপকর্ম ও কুকথা বৈধ, তারা কি কখনো মক্কার ইতিহাস পড়ে দেখেছে? তারা কি সেই সময়ের গারিব ইসলাম আর এখনকার গারিব ইসলামকে আলাদা করে দেখে? তারা কি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা.-কে শুধু সে সময়ের জন্যই উসওয়াতুন হাসানাহ মনে করে? এ কালের জন্য ইসলাম ব্যতীত আলাদা কোনো শরিয়াহ প্রযোজ্য মনে করে? আচ্ছা, দাজ্জাল যখন আসবে, তখন পরিস্থিতি কেমন থাকবে? এখনের ইন্ডিয়ার মতো থাকবে, নাকি এরচেয়ে হাজারগুণ বেশি ভয়াবহ হবে? সে সময় এসব জ্ঞানপাপীর মুখে কিসের বাণী উচ্চারিত হবে? হিকমাহ ও মাসলাহাতের দোহাইয়ে তারা নিশ্চয়ই তখন দাজ্জালের সাফাই গাইবে। মাসিহে কাযযাবের জয়ধ্বনি উচ্চকিত করবে।

যারা এ যুগের দুর্বল দাজ্জালদের পা চাটতে পারে, তারা সে যুগের শক্তিশালী দাজ্জালের জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। পরিস্থিতির সামনে যারা আত্মসমর্পণ করে, তারা সর্বোচ্চ আবু তালিব হতে পারে। পরিস্থিতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা কুরআন ও সুন্নাহর অমোঘ বিধানের সামনে আত্মসমর্পণ করে, তারা আবু বকর হিসেবে অভিহিত হতে পারে। ইসলাম কখনো কুফরের সামনে নতি স্বীকার করে না, হক কখনো বাতিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলে না।

এসকল জ্ঞানপাপী গিরগিটি, যারা সময়ে সময়ে রঙ পাল্টায় বা সাপের মতো খোলস পাল্টায়, এরা মূলত ক্ষমতার গোলাম। ক্ষমতায় যদি থাকে মুসলমানদের খলিফা, তাহলে এরা তার সামনে আনুগত্য প্রকাশ করে। আর ক্ষমতায় যদি থাকে কুফরের ধ্বজাধারী দাজ্জালের সহযোগী কেউ, তাহলে তার উদ্দেশেও অদৃশ্য সিজদা করে। বস্তুত এরা সুবিধাবাদী লোক। এরা যে দলেরই হোক না কেন, আগামীতে এদেরকে দাজ্জালের সহযোগীর ভূমিকায় দেখা যাবে। আর সবকিছু সামনে আসার পরও যারা গোপন অজ্ঞাত অপ্রকাশিত শরিয়াহর দোহাই দিয়ে তাদের প্রতি নিঃশর্ত ভক্তি ও অনুসরণ ধরে রাখে, তারা বাস্তবেই অন্ধ, জেগে থেকেও ঘুমন্ত। এরা জাগবে না। কোনোদিনও জাগবে না। এদেরকে রেখেই কাফেলা এগিয়ে নিতে হবে। হ্যাঁ, কাফেলা যখন এগোতে শুরু করবে, তখন পেছন থেকে দাঁতালও ঘেউ ঘেউ করতে থাকবে। কিন্তু সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করার সময় কোথায়!

Share This