আপনার সামনে মনে করেন দুটো নাম আছে। নাম দুটো আপনি কোনো পোস্টারে লিখবেন। একটি নাম হচ্ছে আবু বকর রা. ও অপর নামটি সালমান ফারসি রা.। দুজনই সাহাবি। দুজনই মর্যাদাবান। তবে সালমান ফারসি রা. বয়সে অনেক বড় ও আবু বকর রা. মর্যাদায় অধিক বড়। যেমন, রাসুলুল্লাহ সা.-এর ব্যাপারে আব্বাস রা. বলেছিলেন : ‘সে আমার চাইতে বড় এবং আমি তার চাইতে বয়স্ক।’ অর্থাৎ সর্বদা বয়সে বড় হলেই মর্যাদার বিচারেও অধিক বড় হয়ে যাবেন – এটা কোনো জরুরি বিষয় নয়। যার মর্যাদা অধিক, তিনিই অগ্রগণ্যতার দাবি রাখেন। সুতরাং উপরিউক্ত দুজনের নাম লিখতে চাইলে বিন্যাস এভাবে হওয়াই আদবের দাবি যে, প্রথমে/ওপরে লেখা হবে আবু বকর রা.-এর নাম এবং দ্বিতীয়তে/নিচে থাকবে সালমান ফারসি রা.-এর নাম।
বক্তা মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমি সাহেবের একটা লেকচার শুনলাম। সেখানে তার উল্লেখিত দাবিসমূহের সারকথা নিম্নরূপ :
১. পোস্টারে নামের ক্রমবিন্যাসের বিষয়টি শরিয়ত ও ইমানের অন্তর্ভুক্ত।
২. বড়কে সম্মান করা ফরজ। সম্মান না-করা কবিরা গোনাহ।
৩. বড় দ্বারা উদ্দেশ্য বয়সে বড়।
৪. সুতরাং যে বয়সে বড়, পোস্টারে তার নাম ওপরে দেওয়াই জরুরি। অন্যথায় তা হারাম হবে।
অবাক হলাম, পোস্টারে তার নাম নিচে লেখা হয়েছে বলেই এভাবে মনগড়া মাসআলা/ফাতওয়া প্রদান করে বসা কি আদৌ ঠিক হলো! তাহলে তো সালমান ফারসি রা.-এর আগে যারা আবু বকর রা.-এর নাম লেখবে, তারা কবিরা গোনাহকারী সাব্যস্ত হবে। কোনো মাসআলা মনে আসলেই তাহকিক না করে তা জনসমক্ষে প্রচার করা অন্যায়। বিশেষ করে যিনি মুফতি নন, তার ক্ষেত্রে এটা কীভাবে বৈধতার পর্যায়ে পড়ে – আমার বুঝে আসে না।
তার সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আশপাশে যারা থাকেন, তাদের কেউ অনুগ্রহপূর্বক বিষয়টি তার নজরে আনবেন। জাযাকুমুল্লাহ।