কুরবানিকে কুরবানি করার চেতনা

কুরবানি নিজেই কুরবানি। কুরবানিকে পুনরায় কুরবানি করার কিছু নেই। প্রত্যেক জাতির আনন্দের দিন থাকে। মুসলমানদের আনন্দের দিন বছরে দুটো। এ দুই দিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিরানন্দে ছেয়ে দেওয়ার কোনো অর্থ নেই।

ইবাদতের পন্থা সুনির্ধারিত। ইবাদতের পন্থা শুদ্ধভাবে শিখতে হলে তাকাতে হবে রাসুল এবং সাহাবিদের সিরাতের দিকে। তারা যেভাবে করেছেন, তা-ই বিশুদ্ধ এবং যথার্থ পথ।

হ্যাঁ, কখনো যদি দীনি প্রয়োজনের খাতিরে আনন্দকে কুরবানি করতে হয়, দীনের জন্য নিজের জীবন সম্পদ বা সময় বিকাতে হয়, তা তো ভিন্ন বিষয়, তা তো পরম আনন্দের বিষয়। কারণ, ‘ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বা’দ।’

শিশু-কিশোরদের জন্য সারাবছর বাইরে বাইরে থেকেও ঈদের দিনগুলোতে পরিবারের সঙ্গে না থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থাকা খুব ভালো কোনো কাজ মনে হয় না। যেমন : ঈদের দিনগুলোতে দাওয়াত ও তাবলিগের সফরে বের হওয়া, কোনো শাইখের সোহবতে দূরে কোথাও অবস্থান করা ইত্যাদি কাজ এ সকল দিনে না হয়ে অন্যান্য দিনে হওয়াই আমার দৃষ্টিতে সংগত।

কওমি মাদরাসাগুলো যেহেতু সরকারের প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত, সরকারের কোনো দান-অনুদানও তারা গ্রহণ করে না, যদিও বর্তমানে একশ্রেণীর মৌলবি কওমির পরিচয়ধারী হয়েও সরকারের পা চাটাকেই ইবাদত মনে করে, এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এটা কওমি মাদরাসার স্বাভাবিক নীতি ও রীতি নয়।

তো যেহেতু কওমের অর্থায়নেই কওমি মাদরাসাগুলো চলবে, তাই কুরবানির দিনগুলোতে কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবক তালিবে ইলম থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রেও তারা মানুষের বাসায় বাসায় যাওয়ার চাইতে কোনো এক পয়েন্টে ব্যানারসহ থাকা এবং সেই পয়েন্টে এসে আগ্রহী মুসলিমরা চামড়া দিয়ে যাওয়াই বাহ্যত সুন্দর এবং আত্মমর্যাদাপূর্ণ পন্থা মনে হয়।

এই কাজকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষ মাদরাসায় শ্রম দিতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাদরাসাগুলোরও উচিত হবে তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা। সেই স্বেচ্ছাসেবকদের সাধ্যমতো সম্মানী দেওয়া।

মাদরাসায় শিক্ষকরা এসেছেন দীনের খেদমত করার জন্য। তাদের নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাদরাসা কীভাবে চলবে, এটা দেখা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষকতার কাজে সর্বদা মশগুল থাকবেন। আর কর্তৃপক্ষ থাকবে তাদের খেদমতে মশগুল থাকবে। যদি কর্তৃপক্ষ নিজেরা ব্যস্ততার দরুন এই কাজটা না পারে তাহলে প্রয়োজনে এর জন্য আলাদা লোক নিয়োগ দেবে। কিন্তু শিক্ষকদের এসব কালেকশনে লাগিয়ে দেওয়া এবং এ ব্যাপারে তাদের বাধ্য করা কোনো আদর্শ রীতি নয়।

একইভাবে মাদরাসায় ছাত্ররা আসে ইলম শেখার জন্য। তাদের খেদমত করতে পারা কর্তৃপক্ষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এমন নয় যে, এর মাধ্যমে তারা ছাত্রদের ওপর অনুগ্রহ করছে। বরং আল্লাহ যে তাদের তালিবুল ইলমদের খেদমতে কবুল করলেন, এটা তাদের ওপর মহান আল্লাহর বিরাট অনুগ্রহ। এ জন্য সাধ্যানুসারে কালেকশনের কাজে ছাত্রদের খাটানোও অনুচিত।

হ্যাঁ, বিশেষ দু-একটা ইস্যুতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যদি কিছু ছাত্রের থেকে খেদমত নেওয়াও হয় তবে এ জন্য তাদের উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া উচিত। এসব দান-অনুদানের কাজে লাগিয়ে ছাত্রদের বছরের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা এক-পঞ্চমাংশ সময় নিয়ে নেওয়া একে তো তাদের লেখাপড়ার জন্য ক্ষতিকর; উপরন্তু এ বয়সে এ কাজে জড়িয়ে গিয়ে তারা হারিয়ে ফেলে ইলমি আত্মমর্যাবোধ, তাদের মানসিকতা এবং চিন্তার পরিসরও হয়ে যায় ক্রমে ক্রমে সংকীর্ণ।

কওমি মাদরাসা কওমের অর্থায়নেই চলবে, আর কওমের থেকে অর্থ/দান সংগ্রহের জন্য সুব্যবস্থাও থাকবে—এ ব্যাপারে তো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রয়োজন দান সংগ্রহের পদ্ধতিতে সংস্কার আনা। নিজেদের আত্মমর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে মুসলমানদের সাধারণ দান সংগ্রহের পথ আবিষ্কার করা। কোনো জায়গায় কর্তৃপক্ষ নিজেরা স্বশরীরে অথবা আলাদা লোক নিয়োগের মাধ্যমে যদি এই সাধারণ কাজটা আঞ্জাম দিতে না পারে তাহলে তাদের কে বলেছে, মাদরাসা খুলে রাখতে! দেশে তো মাদরাসার অভাব নেই। মাদরাসা প্রয়োজনে কম হোক। কিন্তু যেগুলো হবে, সবগুলোতে নৈতিকতা এবং শৃঙ্খলা থাকুক। ময়দানে হাজারো ছাগল মিলেও কি একটা ঘোড়ার কাজ দিতে পারে? ঘোড়া প্রয়োজন; হোক না তা পরিমাণে কম। কী হবে এত এত ছাগল দিয়ে!

আজ কওমি মাদরাসার ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সচেতনতা নেই। যুগের ফিতনার মোকাবেলা করে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার যোগ্যতা নেই। চিন্তাধারায় এখনো সেই সেকেলেপনা। আত্মমর্যাদাবোধ তো হারিয়েছে সেই কবেই। এ জাতিকে অবশ্যই জাগতে হবে। আড়মোড় ভেঙে এখনই জ্বলে উঠতে হবে। এদেরকেই তো ধরতে হবে আগামী পৃথিবীর হাল। ঢের সময় তো চলে গেছে। আর কত!

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি!

সংস্কার এবং সংস্করণ না হলে মরীচিকা পড়ে যায়। সেই মরীচিকা কখনো এত গাঢ় হয়ে যায়, যা দূর করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।

২.

আলিমদের চাঁদা সংগ্রহ প্রসঙ্গে কয়েকটি উদ্ধৃতি


আল্লামা সুলতান যওক নদবি (দা.বা.) তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার জীবনকথা’তে লেখেন,

‘হজরত মাওলানা হারুন বাবুনগরী (মৃত্যু ১২ই জিলহজ্ব ১৪০৫হিঃ) ছিলেন একজন উঁচুমাপের মুতাওয়াক্কিল। সৃষ্টি থেকে বিমুখতা ও আল্লাহ নির্ভরশীলতা তাঁর প্রতিটি কথাবার্তা ও চাল চলনে প্রকাশ পেত। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হুজুর বলেন, শুরুর পনের ষোল বছর আমি কারো কাছ থেকে চাঁদা চাইনি।

আজও আমি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলি যে, ছাত্র ও শিক্ষকরা যেন কোন চাঁদার জন্য কারো কাছে না যায়। আল্লাহ পাক বর্তমান অবস্থার চাইতে ভালো চালাবেন। কিন্তু আমার এ কথার উপর তারা আস্থা রাখতে পারছে না। মাদরাসার অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থায়ও হুজুর শহরে বন্ধু-বান্ধবদের কাছে চাঁদার জন্য অথবা মাদ্রাসার কোন প্রয়োজনীয়তার কথা প্রকাশ করতে যান নি। বিদেশেও কাউকে পাঠানোর চিন্তা করেন নি।

একবার হজ্ব সফরে কেউ হুজুরকে বলল, হুজুর! মাদ্রাসার প্রয়োজনীয়তার কথা বললে অনেক সহযোগিতা পাওয়া যেত। তখন হুজুর বললেন, আমি এখানে মানুষের কাছে আসি নি। এসেছি আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেবার জন্য। তাঁর কাছে যদি মাদরাসা কবুল হয়ে যায় তা-ই যথেষ্ট নয় কি? (পৃষ্ঠা : ১১২)


মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ (দা.বা.) বলেন,

‘মানুষের কাছে দীনের খাদেমরা কিছু চাবে, এটা তো হতেই পারে না। আর যদি চাওয়া ছাড়া কেউ কিছু দিতে চায় তবে দেখো তার উদ্দেশ্য কী। যদি তার উদ্দেশ্য হয় তোমার প্রয়োজন পূর্ণ করা তোমার প্রতি রহম করা তাহলে বলো, আমার (বা আমাদের প্রতিষ্ঠানের) আপনার কাছে কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন আল্লাহই দেখবেন।

আর যদি তার উদ্দেশ্য হয় দ্বীনের খেদমত করে নিজে সৌভাগ্যবান হওয়া, আখেরাতের জন্য কিছু ছামান যোগাড় করা তবে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কারও অধিকার নেই। (জীবন সফলতার পাথেয়, পৃষ্ঠা : ১৫৩)


হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানবি রহ বলেন,

‘আল্লাহর কসম করে বলছি, আলেমগণ যদি ধনীদের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে যান যেমন কিনা আলহামদুলিল্লাহ আহলে হক বিমুখ রয়েছেন তাহলে বড় বড় অহংকারীরাও তাদের সামনে মাথা নিচু করতে বাধ্য হবে। আলেমদের জন্য এটাই উত্তম যে, যদি কোনো দুনিয়াদার তাদেরকে কোনো কিছু হাদিয়া দেয় তো গ্রহণ করতে অসম্মতি জানাবেন। বস্তুত, আলেমদের অস্তিত্ব তো এমন ‘মাহবুব’ ও প্রিয় ছিল যে, কারো ঘরে গেলে তার জন্য ঈদের দিন বলে গণ্য হত।

কিন্তু আফসোস! আজ ‘ঈদের দিনের’ বদলে ‘ভীতির দিন’ হয়ে গেছে। এ অবস্থা সৃষ্টির নেপথ্যের নায়ক হল কিছু লোভী আলেম। তাদের কারণে এখন আলেমরূপী কাউকে দেখলেই মনে করে কিছু চাইতে এসেছে বুঝি। আলেমদের উচিত সম্পদ এবং মর্যাদার মোহের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। আলেমগণ যদি ধনীদের দরজায় যাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে তারা নিজেরাই তাদের দরজায় আসতে বাধ্য হবে।’ (আল-ইলমু ওয়াল-উলামা। অনুবাদ : আব্দুল গাফ্ফার শাহপুরী। পৃষ্ঠা : ৩১৮)


মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ (দা.বা.) তাঁর ‘বাইতুল্লাহর মুসাফির’ নামক বইয়ের এক জায়গায় লেখেন,

‘একটা বিষয় খুব উপলব্ধি করেছি, গোরবত ও দারিদ্রের সঙ্গে দ্বীনী মেহনতের যে হৃদ্যতা রয়েছে প্রাচুর্যের সঙ্গে তা নেই। প্রাচুর্য দ্বারা সাজ যতটা হয় কাজ ততটা হয় না।

পরে আমি এ অনুভূতি হযরত হাফেজ্জী হুযুরের খিদমতে আরয করে বলেছিলাম, আমাদের দেশে দ্বীনী কাজের জন্য আরবদের পয়সার প্রয়োজন নেই। গোরবতের মাঝে যে কাজ হবে, প্রাচুর্যে তা হবে না।

আজ এত বছর পরও আমার সে বিশ্বাস অটুট রয়েছে। আমাদের দেশে আল্লহ এই পরিমাণ সম্পদ রেখেছেন যা দ্বারা দ্বীনের সব প্রয়োজন পূর্ণ হতে পারে, প্রয়োজন শুধু মালদারদের দ্বীনদার হওয়া, আর আহলে ইলমের দুনিয়া-বিমুখ হওয়া। আরবদের কাছে আমাদের যাওয়া উচিত দ্বীনের দাবী নিয়ে, অর্থের চাহিদা নিয়ে নয়। (পৃষ্ঠা : ৪৭)


মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. বলেন,

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা জাকাত-ফেতরার টাকা, খাস করে কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করার জন্য শহরের অলিতে-গলিতে ঘোরাফেরা করে। এটা দ্বীনের জন্য বড়ই বেইজ্জতির কথা। এতে মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি মানুষের হেয় দৃষ্টি তৈরি হয়, যা ধর্মের জন্য ক্ষতিকর।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ অসিয়ত থাকল, তারা যেন ছাত্রদের এভাবে চামড়া সংগ্রহ করতে না পাঠায়। বরং মাদরাসা প্রাঙ্গণে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প থাকবে। সেখানে মাদ্রাসাদরদী জনগণ নিজেদের দায়িত্বে চামড়া পৌঁছাবেন। আল্লাহ পাকের ওপর ভরসা করে মাদরাসা চালান। হেয়তাপূর্ণ কাজ বন্ধ করুন। (আমিরে শরিয়ত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর র., লেখক : নাসীম আরাফাত, পৃষ্ঠা : ১৯)।

একই ধরনের কথা ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.-ও বলে গেছেন। (দ্রষ্টব্য : মাওলানা নাসিম আরাফত রচিত তার জীবনীগ্রন্থ)

৩.

চামড়া সংগ্রহের বিকল্প

মাদরাসাগুলো সাধারণত জনগণের অনুদানের ওপর নির্ভর করে চলে। চামড়া বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থে মাদরাসাগুলো তাদের বাৎসরিক ব্যয়ের একটা বড় অংশের যোগান দিচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট একটি আয়ের উৎস নিয়ে বসে না থেকে মাদরাসাগুলো অন্যান্য প্রকারের সদকা প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে পারে। নতুন আয়ের উৎস নিয়ে তারা ভাবতে হবে। তাহলে মাদরাসার অর্থায়ন নিয়ে এমন খেলার সুযোগটা কেউ পাবে না। কৃত্রিমভাবে দাম কমিয়েও তারা সবিশেষ লাভবান হবে না।

মাদরাসাগুলো যাকাত ও সদাকার বাইরে ‘ওয়াকফ’কেও প্রমোট করতে পারে বা ওয়াকফের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘ক্যাশ ওয়াকফ’ বা নগদ ওয়াকফ বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশে জনপ্রিয় হচ্ছে। ক্যাশ ওয়াকফের মূল কথা হচ্ছে, জমি বা স্থায়ী সম্পত্তি ওয়াকফ না করে নগদ অর্থ ওয়াকফ করা। সে নগদ অর্থকে আবার অন্য কোথাও বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়া। যেমন, কেউ ৫ হাজার বা ১০ হাজার টাকা মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দিলো। তারপর সে অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ খাতে রেখে এর লভ্যাংশ মাদরাসায় দিয়ে দেওয়া হল।

‘ওয়াকাফ এর আরও কয়েকটি উদাহরণ আমরা বর্তমান বিশ্বে দেখতে পাই। যেমন কোনো রেস্টুরেন্টের একটি চেয়ার বা টেবিল মাদরাসার নামে ওয়াকফ করে দেওয়া যেতে পারে। এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ মাদরাসায় দিয়ে দেওয়া হবে। অথবা বিমানের কোনো সীট বা বাসের সীট মাদরাসার নামে ওয়াকফ করা থাকবে। অথবা ব্যবসার লাভ্যাংশের নির্দিষ্ট একটি অংশ ওয়াকফ করা যেতে পারে। এ ধরণের বিভিন্ন ওয়াকফ পদ্ধতি বিশ্বে জনপ্রিয় হচ্ছে। শুধু যাকাত বা ফেতরার টাকায় নির্ভরশীল না হয়ে মানুষকে এ ধরণের ওয়াকফ পদ্ধতিতে উৎসাহ করা যেতে পারে। আমরা এর মাধ্যমে মানুষকে আরও বেশী সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে উৎসাহিত করে তুলতে পারি। মানুষ যেন বিলাস বহুল জীবনে আকৃষ্ট না হয়ে সমাজমুখী কাজে আগ্রহী হয়ে উঠে। এর জন্য ওয়াকফ পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হতে পারে।’

Share This