মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুরের নাম শোনেনি এবং তাকে শ্রদ্ধা করে না, এমন মানুষ অন্তত এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার নাম বিক্রি করে খায়, এমন মানুষের সংখ্যাও তো নিতান্ত কম নয়। আমরা এখানে সেই হাফেজ্জি হুজুরেরই একটা বৈপ্লবিক ঘোষণার অংশবিশেষ উল্লেখ করছি, যে ধরনের ঘোষণা না তৎকালীন সময় পর্যন্ত কেউ দিতে পেরেছিল আর না তার পরে পেরেছে। কথিত মূলধারার কারও দ্বারা এরূপ আদর্শ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
‘আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, যে বা যারা আল্লাহ তাআলার অবতীর্ণ বিধান অনুসারে শাসনকার্য চালায় না, তারা কাফির, জালিম ও ফাসিক। …অতএব যে সরকার কুরআন-সুন্নাহ অনুসারে শাসন চালায় না, যে সরকার সুদ, মদ, জুয়া, বেশ্যাবৃত্তি, ভ্রুণহত্যা, বেপর্দা ইত্যাকার সুস্পষ্ট হারাম কার্যাবলিকে আইনানুগ করে মুসলমানদের তা করার জন্য বাধ্য ও উৎসাহিত করে; যে সরকার আল্লাহ ও আল্লাহর বান্দাদের কাছে দেওয়া ইসলামি হুকুমত কায়েমের ওয়াদা ক্ষমতায় থেকেও পালন করে না; যে সরকার উম্মতের কোনো মতামত ছাড়াই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উপর জবরদখল কায়েম করে এবং যে সরকার সেই জবরদখল কায়েম রাখার জন্য জনগণের খোদাপ্রদত্ত মৌলিক অধিকারসমূহ হরণ করে; যে সরকার দেশের গরীব-দুঃখী জনতার জন্য ইসলাম-নির্ধারিত আর্থিক হক লুটপাট করে বেপরোয়াভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অপচয় ও অনুৎপাদনশীল খাতে উজাড় করে; যে সরকারের শিক্ষানীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতি, শিল্প ও বাণিজ্যনীতি, কৃষি ও শ্রমনীতি এককথায় সবকিছুই কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট পরিপন্থী সে সরকার মুসলিম দেশের জন্য শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ বলে বিবেচিত হতে পারে না। কাজেই সেই সরকারের আনুগত্য জনগণের জন্য জরুরি নয়।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যে দ্বিতীয় পদক্ষেপ ছিল এই :
‘রাষ্ট্রপ্রধান ও তার মন্ত্রীসভার সাথে শরিয়ত-নির্দেশিত পথে সকল প্রকার সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। অর্থাৎ দেশবাসী তাদের কোনো আচার-অনুষ্ঠানে, এমনকি তাদের কারও জানাযায় শরিক হবে না। অধিকন্তু স্বেচ্ছায় যদি কেউ যোগদান করে তাহলে দেশবাসী তাদেরও বয়কট করবে।’
দ্রষ্টব্য : আমিরে শরিয়ত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জি। লেখক : মাওলানা নাসিম আরাফাত। পৃ. ২৬৪-২৬৬।
হায়, আজকালকের চেতনার আফিমবিক্রেতারা এবং আকাবিরের আদর্শের স্বঘোষিত অনুসারীরা কি পারবে ‘আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা’র এই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে? বা অন্তত মিল্লাতে ইবরাহিমের এই দাবি সাহস করে মুখে উচ্চারণ করতে?
আজকাল তো কারও কারও ধারণা, অমুক ইসলামি দল বিজয় লাভ করলে দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। এটা কেমন আকাশকুসুম কল্পনা! এ দেশে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত কারও মাধ্যমে ইসলাম কায়েম হওয়া কীভাবে সম্ভব? দেশ তো একটা সিস্টেমে চলে। নির্বাচিত প্রতিনিধিকেও এই সিস্টেমের মধ্য দিয়েই কাজ করে যেতে হবে।
তিনি চাইলেই পারবেন না সংবিধানের চার মূলনীতিকে পরিবর্তন করতে। চাইলেই পারবেন না প্রস্তাবনা থেকে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদকে মিটিয়ে দিতে। জাতীয়তাবাদকে মেটালে তো আর দেশই থাকবে না। ধর্মনিরপেক্ষতাকে মেটালে দেশ চলে যাবে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী/উগ্রবাদী/জঙ্গিদের’ দখলে। এটাকে দেশীয় বাতিল শক্তি, আড়াল থেকে যারা ক্ষমতার চাবিকাঠি নাড়ে এবং আন্তর্জাতিক পরাশক্তি কখনো কিছুতেই মেনে নেবে না। দেশের ভাগ্যে তখন নেমে আসবে আফগান জাতির দুর্দশা।
আর গণতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার কি পারবে গণতন্ত্রকে দূর করতে? একান্ত সমাজতন্ত্রের মূলনীতিকে যদি কিছু করা যায়, তবে তা-ও সবিশেষ ফায়দা বয়ে আনবে না। তা ছাড়া এমনিও এ মূলনীতির যথাযথ প্রয়োগ বর্তমান সময়ে নেই। তাই সমাজতন্ত্রের এই নীতি তত বেশি মাথাব্যথার কারণ কারও জন্যই নয়।
গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচিত ইসলামপন্থী সরকারকে টিকে থাকতে হলে কুফরি শাসনব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরেই টিকে থাকতে হবে। এমন হলে তো তখন তার ওপরই কুফরের ফতোয়া চলে আসবে। হাঁ, একশ্রেণীর মানুষ তো ধর্মীয় স্বার্থের অজুহাত দেখিয়ে সবকিছুকে বৈধ করে ফেলতে চায়। কোনো কোনো পীর তার মুরিদদের মন গলানোর জন্য ইচ্ছেমতো জাল হাদিস তৈরি করে নেয়। কিছু বললে প্রত্যুত্তর দেয়, আমি তো ইসলামের স্বার্থেই এমনটা করেছি; ইসলামের বিপক্ষে তো কিছু করিনি। তাই আমার এ কাজ বৈধ হওয়াই উচিত।
কোনো পীর দাবি করতে পারে যে, তাকে ভোট দেওয়া মানে নবিকে ভোট দেওয়া। অন্ধ অনুসারীরা এ কথাকে সমর্থনও দিতে পারে। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। গোলাম আহমদ কাদিয়ানির অন্ধ অনুসারীরা যেমন তার অন্ধ অনুসরণ করতে করতে একপর্যায়ে তার নবুওয়াতের দাবিকেও নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছিল। যুগে যুগে এমনটা হয়েই থাকে। যখন দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে সে সময়ের চিত্রও এমনই হবে।
দাজ্জাল বের হয়েই নিজেকে প্রভু বলে ঘোষণা দেবে না। তার দাওয়া ধাপে ধাপে উন্নত হবে। প্রথমেই সে একঝাঁক অন্ধ অনুসারী জুটিয়ে নেবে, যারা পরবর্তীতে তার কুফরি দাবিকেও চোখ বুজে সমর্থন দিয়ে যাবে। কেউ তাদের চোখে আঙুল দিয়ে কুরআন-সুন্নাহর দলিল দেখিয়ে দিলে তারা হিলা-তাবিলের আশ্রয় নেবে। অন্ধ অনুসারীদের কাছে সর্বদাই হিলা-তাবিলের অনিঃশেষ ভাণ্ডার থাকে। তাই তাদের সামনে খোদ আল্লাহর বাণীও হয়ে যায় প্রত্যাখ্যাত আর অনুসৃত ব্যক্তির কথা হয়ে যায় নির্দ্বিধ গ্রহণীয়।
মাওলানা ওলিপুরির কাছে একবার রাজধানীর এক মাদরাসার দরদী মুহতামিম এসে শতধা বিক্ষিপ্ত ইসলামি দলগুলোর ব্যাপারে অনুযোগ জানালেন। মাওলানা ওলিপুরি তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে বললেন, আপনি কি মনে করেন এই হুজুররা ক্ষমতায় গেলে দেশের খুব উন্নয়ন হবে? সকল দুর্নীতির অবসান হয়ে খিলাফাতে রাশেদার চিত্র ফিরে আসবে? এটা তো মনকলা খাওয়ার মতো একটা ব্যাপার।
একে তো হুজুররা ব্যাপকভাবে রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখে না। দেশ চালানোর অভিজ্ঞতাও তাদের নেই। আর এসব কিছুর চেয়ে বড় কথা হলো, সরকার গঠন করার ক্ষেত্রে আপনারা তো শাইখুল হাদিসের চেয়ে নিম্নপদস্থ কাউকে নির্বাচন করার কথা নয়। তো শুনুন এক শাইখুল হাদিসের কথা, যিনি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ এবং যার নাম বললে আপনিও চিনে ফেলবেন, তিনি আমার কাছ থেকে মোটা অংকের (পরিমাণ বলেছিলেন) টাকা নিয়েছেন এখন থেকে আরও এক যুগ আগে। এরপর সেই যে উধাও হয়েছেন, তো হয়েছেনই। তার সঙ্গে না যোগাযোগ করা যায়, আর না কষ্টমষ্ট করে যোগাযোগ করে কোনো লাভ হয়। এখন এই এদের দ্বারাই তো সরকার গঠন করবেন। তাই না?
ওরা তো খেতে খেতে পেট অনেকটা ভরে এসেছে। এখন খেলেও বুঝেশুনে খায় আর পরিমাণমতো খায়। আমাদের লোকগুলো তো এখনো পুরোই বুভুক্ষু। খাজানা পেয়ে তাদের কজন নিজেকে সামলাতে পারবে? তখন দেখা যাবে, খাওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে আর কাঁচা হাতে খাওয়ার কারণে সব মিডিয়ায়ও চলে আসবে। এমন একটা ঘটনা মিডিয়ায় চলে আসলে পরিস্থিতি কী হবে, তা বুঝতে পারেন? এ জন্য লোকে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কোন দল করেন? জবাবে আমি বলি, আমি কোন্দল করি না।
(মাওলানার এই ‘কোন্দল’ শব্দকে পুঁজি করে এক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতা নাম উল্লেখ করা ছাড়া তাকফিরের ফতোয়া জারি করেছে। তার ভাষ্য—‘যারা রাজনীতিকে কোন্দল বলে, তারা প্রকারান্তরে আল্লাহর রাসুলের সিয়াসাতি জীবনকে অস্বীকার করে। আর যে রাসুলের জীবনের এত বড় অংশকে অস্বীকার করতে পারে, এমনকি সেটাকে “কোন্দল” শব্দে অভিহিত করতে পারে, সে কি কখনো মুসলমান হতে পারে? সে তো একটা কাফির।’
আজ এক পীরের বক্তব্যে শুনলাম, তিনি বলছেন, আমার প্রতীকে ভোট দেওয়ার মানে হলো নবিজিকে ভোট দেওয়া। আচ্ছা, যারা সেই প্রতীকে ভোট দেবে না, তবে কি তারা নবিজিকে ভোট না দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দিলো? যারা নবিজিকে নির্বাচন না করে অন্য কাউকে নির্বাচন করে, তারা আবার কীভাবে মুমিন হতে পারে! ছুপা তাকফিরিরা এভাবেই শব্দের মারপ্যাঁচে ফেলে মানুষদের তাকফির করে; যদিও সেই পীরের কোনো মুরিদ এ ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে এখনো কাউকে তাকফির করেনি। তবে নির্বাচন পরবর্তী অবস্থার কথা বলা যাচ্ছে না।)
গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত হয়ে না আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা (আল-বারা) সম্ভব আর না ইসলামের সৈনিকদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেওয়া (আল-ওয়ালা) সম্ভব। এ পন্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা হয় আন্তর্জাতিক প্রভুদের গুটি। তারা চাল চালে, মাঝ দিয়ে এরা ব্যবহৃত ভয়। এর বিনিময়ে পার্থিব কিছু সুবিধা অবশ্য পায়। মুরসি, সাদ্দাম হুসাইন, গাদ্দাফি বা ইখওয়ান-জামাতের পরিণতি এবং অভিজ্ঞতা থেকে কেউ আর শিক্ষা নেয় না। তারা এখন যে ভুলের মাশুল গুনছে, নবীনরা কিনা সেই ভুলের পথেই ক্রমশ এগোচ্ছে।
আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকদের অবস্থা লক্ষ করলে দেখবেন, যেখানে তাদের ভোট হারানোর আশঙ্কা আছে, সেখানে তারা একেবারে মুখে কস্টেপ এঁটে চুপ হয়ে থাকে। যারা পান থেকে চুন খসলেই ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডকে গরম করে ফেলে, তারাই কিনা দেশের খ্যাতিমান গবেষক আলিমে দীনের ওপর জালিমের জুলুম দেখে একেবারে নীরব ভূমিকা পালন করল! প্রতিবাদ তো দূরের কথা, হজরতের ভক্তদের উদ্দেশে সামান্য সমবেদনাটুকু পর্যন্ত জানাল না। নির্বাচনের আগেই ভোট বাঁচানোর তাগিদে যাদের এই অবস্থা হয়, তারা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নির্বাচনের পরে যে কী কী করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। আফসোস এ জাতির জন্য, যারা কিনা মানুষ চিনতে বারবার ভুল করে!
আল্লামা তাকি উসমানি (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো দেশে যদি ইসলামের বিধিবিধান প্রতিষ্ঠিতিও হয়ে যায়, তবুও তাদের জন্য গণতন্ত্র বৈধ হয়ে যাবে না। কারণ, সেখানে ইসলামের বিধিবিধান এ জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি যে, আল্লাহ এবং তার রাসুলের আদেশ শিরোধার্য; বরং এ জন্য হয়েছে যে, অধিকাংশ জনগণ তা মেনে নিয়েছে। তাহলে বিধান প্রবর্তক আল্লাহ এবং তার রাসুলকে মানা হয়নি; মানা হয়েছে জনগণকে। উপরন্তু তা টেকসইও নয়। পরবর্তীতে যখন জনগণের মনমানসিকতা-চিন্তাভাবনা বদলে যাবে তখন আর তা বহাল থাকবে না। (হাকিমুল উম্মত কে সিয়াসি আফকার)
কুফরি ধারার মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের ভূত যাদের কাঁধে চেপেছে, তাদের স্মরণ রাখা উচিত, হক জিন্দা হবে হক তরিকায়; বাতিল তরিকায় নয়। ‘ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বাদ।’ হাঁ, আমরা বলি না, শান্তিপূর্ণ পন্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না; বরং তা বৈপ্লবিক পন্থায়ই হতে হবে। শান্তিপূর্ণ পন্থায়ও তা হতে পারে; কিন্তু তাই বলে গণতান্ত্রিক পন্থায় কখনোই হবে না, হতে পারে না। আপনি এর সম্ভাবনা, সম্ভাব্যতা এবং রূপরেখা দেখুন, এরপর নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে এর অসারতা নিয়ে ভাবুন, তাহলে আপনার সামনেও এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যদি এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখতে না পান তাহলে স্মরণ রাখুন, দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ হয়েও যদি আপনি অপারগতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে না পান তাহলে কি আপনি বলতে চান যে, আল্লাহ মানুষের ওপর অসাধ্য বিধান চাপিয়ে দিয়েছেন? তিনি মানুষকে এমন কিছু আঁকড়ে থাকতে বলেছেন, যা কিনা চৌদ্দ শতকে এসে সকলের জন্য অসাধ্য বিষয়ে পরিণত হবে? অথচ এটা তো কুরআনের বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক চিন্তা।
যে দেশের শতকরা আশিজনেরও অধিক নাগরিক শরিয়াহর শাসনব্যবস্থা চায়, সে দেশে আপনি মানুষের আবেগকে নিয়ে খেলা করতে পারেন না এবং যারা নির্ভেজাল ইসলামের স্বপ্ন দেখে, তাদের মন্দের ভালো বলে এক কুফরের সাগর থেকে উঠিয়ে আরেক কুফরের সাগরে ফেলতে পারেন না। ‘তবে কি তারা জাহেলিয়াতের শাসনব্যবস্থা চায়? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ অপেক্ষা অধিক উত্তম বিধানদাতা আর কে আছে?’ (আল-কুরআন)
বাস্তব কথা হলো, ইসলামপন্থী গণতান্ত্রিক রাজনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া মানে রাসুলকে ভালোবাসা, তাদের এসকল কুফরি-শিরকি ধারায় মাখামাখি করতে নিষেধ করা মানে সুন্নাহ জিন্দা করা আর তাদের ব্যাপারে সত্যসন্ধানী মুসলিমদের সতর্ক করা মানে ‘ওয়ারিসে নবি’ হওয়ার হক আদায় করা।
চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা, জাঝাকাল্লাহ
মাশাআল্লাহ শায়েখ৷ ওসামা নামটাই যেন কেমন৷ বিপ্লবী বিপ্লবী৷