ইসলামি সমাজবিপ্লবের জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি :
১. কুরআন, সুন্নাহ, সিরাতুর রাসুল এবং হায়াতুস সাহাবাহর আলোকে মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা। সফরের মানজিলে মাকসুদ স্থির করা।
২. কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা। (কারণ, লক্ষ্য ভালো হলেই কর্মপন্থা ভালো হওয়া জরুরি নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইসলামি গণতান্ত্রিকদের লক্ষ্য সাধারণভাবে ভালোই মনে হয়। কিন্তু তাদের কর্মপন্থা সমর্থনযোগ্য নয়।)
৩. এ পথে চলতে গিয়ে অনিবার্য পরিণতি হিসেবে যে সকল কটু কথা, নিন্দা, তীর্যক গালি, সমালোচনা, সম্পর্কচ্ছেদ এবং ভয়াবহ সব নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হবে, আল্লাহর জন্য তা অম্লানবদনে সয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করা।
৪. জাহিলিয়াতের ব্যাপ্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা। জাহিলিয়াতের প্রতীক, নিদর্শন, শিকড় ও শাখাপ্রশাখা সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান অর্জন করা। ইসলাম ও জাহিলিয়াতের সংঘর্ষ এবং পুরোনো জাহিলিয়াত ও নব্য জাহিলিয়াতের যোগসূত্র ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সার্বিক জ্ঞান রাখা।
৫. জাহিলিয়াতের অবাধ স্রোত রোধ করার জন্য অপরিহার্যভাবে ভেতরের ও বাইরের আরও যেসব শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে, সেগুলোর যথার্থ পরিচিতি লাভ করা। বর্তমান পৃথিবীতে জাহিলিয়াতের ধ্বজাধারী, সেবক, সমর্থক ও প্রেতাত্মাদের দৌরাত্ম্যের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকা এবং ধীরেসুস্থে কৌশলের সঙ্গে প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলা। মনে রাখতে হবে, শত্রুকে চিনতে পারা বিপ্লবের প্রথম শর্ত। শত্রু সর্বদা প্রকাশ্যে থাকবে, তা নয়; বরং অনেক সময় নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকবে, নিজেদের ঘরের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকবে। এ ছাড়াও যেকোনো স্বার্থের কারণে পরম আপন বন্ধুও নিমিষেই ধারণ করতে শত্রুর রূপ। সুতরাং সতর্কতার মধ্যমপন্থা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।