মানুষের জন্য শহিদ হওয়া যেমন মর্যাদার বিষয়, পশুর জন্য আল্লাহর পথে কুরবানি হওয়া তেমন মর্যাদার বিষয়। মানুষের মধ্যে নাস্তিক-বেইমান থাকলেও সকল পশু তাওহিদবাদী মুসলমান। তাদের জীবনে অভীষ্ট লক্ষ্য ও আরাধ্য, আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবন ব্যয় করা। তারা নিয়মিত ইবাদতগুজার এবং তাদের প্রত্যেকের পর্যাপ্ত ইলমও রয়েছে। এ সবগুলো বিষয়ই বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। সুতরাং পশুর ওপর অনুগ্রহ করুন। তাকে নাস্তিক, মুরতাদ, বেইমান বা শাতিমদের খাদ্যে পরিণত হতে দেবেন না। একজন তাওহিদবাদী মুসলমান প্রাণীর জন্য নাস্তিক, মুরতাদ, বেইমান,‌ শাতিমদের আহার হওয়ার চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারে না।

সুতরাং প্রকৃতপক্ষে পশুপ্রেমী হয়ে থাকলে তাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হোন। তাদের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। ‍তাদেরকে আল্লাহর পথে কুরবানি করুন। শহিদের রক্তে যেমন দীন জিন্দা হয়, পশুর রক্তে তেমনি ইবাদত জিন্দা হয়। যদি পারেন, নাস্তিক, মুরতাদ, শাতিমদের পশু খেতে অনুৎসাহিত করুন। ওদের মুখ থেকে গ্রাস কেড়ে নিন। আরও ভালো হয়, ওদের জন্য গরুর মলমূত্র বরাদ্দ রাখুন; আর নিজেরা এর পবিত্র গোশত খেয়ে নিন। কারণ এক পশু তো আরেক পশুর মলমূত্র খাওয়ারই যোগ্য। পক্ষান্তরে এক তাওহিদবাদী আরেক তাওহিদবাদীর স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

আর ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণ পেতে চাইলে মনের পশু নয়, বনের পশু কুরবানি করার পাশাপাশি মানবপশুদের সঙ্গে আল-বারা কায়েম করুন। তাদের সঙ্গে সর্বপ্রকার মৈত্রী ও হৃদ্যতা ছিন্ন করুন। ইনশাআল্লাহ, এতে পরম প্রশান্তি, স্বাদ ও তৃপ্তি পাবেন।

Share This