যদি কেউ প্রশ্ন করে, আল্লাহ কোথায়? আমরা ইমামগণের বক্তব্যের আলোকে তার প্রশ্নের উত্তর দেবো।

1.         ইমাম আবু হানিফা রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আল্লাহ কোথায়? তিনি বললেন :

كان الله تعالى ولا مكان، كان قبل أن يخلق الخلق، كان ولم يكن أين ولا خلق ولا شىء، وهو خالق كل شىء

যখন কোনো স্থানই ছিল না, তখনো আল্লাহ ছিলেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে তিনি ছিলেন। তিনি তখনো ছিলেন, যখন ‘কোথায়’ বলার মতো জায়গা ছিল না, কোনো সৃষ্টি ছিল না এবং কোনো বস্তুই ছিল না। তিনিই সবকিছুর স্রষ্টা।[1]  

2.         ইমাম আবু হানিফা রহ. আরও বলেন :

نقر بأن الله على العرش استوى من غير أن يكون له حاجة إليه واستقرار عليه وهو الحافظ للعرش وغير العرش، فلو كان محتاجا لما قدر على إيجاد العالم وتدبيره كالمخلوق ولو كان محتاجا إلى الجلوس والقرار فقبل خلق العرش أين كان الله تعالى! تعالى الله عن ذلك علوا كبيرا.

আমরা স্বীকার করি যে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর ইসতিওয়া করেছেন। তিনি আরশের প্রতি কোনো ধরনের প্রয়োজন ও তার ওপর স্থিতিগ্রহণ ব্যতিরেকেই তার ওপর ইসতিওয়া করেছেন। তিনি আরশ ও আরশ ছাড়া অন্য সব সৃষ্টির সংরক্ষণকারী কোনো ধরনের মুখাপেক্ষিতা ব্যতিরেকে। তিনি যদি মুখাপেক্ষী হতেন, তাহলে সৃষ্টিজীবের মতো মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও পরিচালনা করতে সক্ষম হতেন না। তিনি যদি আরশের ওপর সমাসীন হওয়া এবং স্থির হওয়ার দিকে মুখাপেক্ষী হতেন, তাহলে আরশ সৃষ্টির পূর্বে তিনি কোথায় ছিলেন? আল্লাহ এসব বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।[2]  

3.        ইমাম ইবনু আবদুস সালাম রহ. ইমাম আবু হানিফা থেকে উদ্ধৃত করেন :

من قال لا أعرف الله تعالى في السماء هو أم في الأرض كفر، لأن هذا القول يوهم أن للحق مكانا ومن توهم أن للحق مكانا فهو مشبه

যে ব্যক্তি বলবে, আমি জানি না, আল্লাহ তাআলা আকাশে আছেন নাকি পৃথিবীতে, সে কাফির হয়ে যাবে। কারণ, এই কথাটি এ সংশয় সৃষ্টি করে যে, আল্লাহ তাআলার জন্য কোনো স্থান রয়েছে। যে ব্যক্তি এ ধারণা রাখবে যে, আল্লাহ জন্য কোনো স্থান রয়েছে, সে একজন মুশাব্বিহা।[3]  

4.         ইমাম মাতুরিদি রহ. লেখেন :

‘আল্লাহ তাআলার অবস্থানের ক্ষেত্রে মুসলমানদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

(ক) তাদের কেউ কেউ ধারণা করছে যে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর অধিষ্ঠিত। তাদের নিকট আরশ হলো একটি সিংহাসন; ফেরেশতাগণ যা বহন করে এবং এর চারদিক প্রদক্ষিণ করে। কেননা, আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, ‘সেদিন আপনার প্রতিপালকের আরশকে আটজন ফেরেশতা বহন করবে।’[4] ‘আপনি ফেরেশতাদের আরশ প্রদক্ষিণ করতে দেখবেন।’[5] অন্য আয়াতে রয়েছে, ‘যে সকল ফেরেশতা আরশ বহন করে এবং আরশের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে।’[6]   

এরা পবিত্র কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছে। পবিত্র কুরআনের সুরা তহার ৫ নম্বর আয়াতে রয়েছে, ‘দয়াময় আরশের ওপর ইসতিওয়া করেছেন।’

এ ছাড়াও তাদের দলিল হলো, মানুষ দুয়ার সময় ওপরের দিকে হাত উত্তোলন করে এবং ওপর থেকে নিজেদের কল্যাণের প্রত্যাশা করে। এদের বক্তব্য হলো, আল্লাহ তাআলা পূর্বে আরশে ছিলেন না। পরবর্তীতে আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তারপর তিনি আরশে ইসতিওয়া করেছেন।’[7]  

(খ) কেউ কেউ বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাআলা সব জায়গায় রয়েছেন। এরা পবিত্র কুরআনের কয়েকটি আয়াত দ্বারা দলিল দিয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি যদি কথোপকথন করে, তবে আল্লাহ তাআলা হন চতুর্থজন।’[8] অপর আয়াতে রয়েছে, ‘আমি তাদের ঘাড়ের রগের চাইতেও অধিক নিকটবর্তী।’[9] অন্য আয়াতে রয়েছে, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মৃত ব্যক্তির অধিক নিকটবর্তী। অথচ তোমরা দেখো না।’[10] অন্য আয়াতে তিনি বলেন, ‘অথচ তিনি সেই আল্লাহ, যিনি আকাশেও প্রভু এবং পৃথিবীতেও প্রভু।’[11]  

এরা ধারণা করেছে যে, যদি আল্লাহ তাআলাকে সব জায়গায় বিরাজমান না বলা হয়, তাহলে এর দ্বারা আল্লাহ তাআলাকে সীমিত করা হয়। প্রত্যেক সীমিত জিনিস তারচে বড় জিনিস থেকে ছোট। এটি আল্লাহর জন্য একটি ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত।

এদের এই অসার বক্তব্যে আল্লাহ তাআলাকে স্থানের মুখাপেক্ষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে আল্লাহর জন্য সীমা সাব্যস্ত করা হয়েছে। কেননা, কোনো কিছু যদি বাস্তবে কোনো স্থানে অবস্থান করে, তাহলে উক্ত বস্তুটির ওই স্থান থেকে বড় হওয়াটা সম্ভব নয়। কেননা, এটা যদি স্থান থেকে বড় হয়, তাহলে উক্ত স্থানে তার অবস্থান সম্ভব নয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকবে, অথচ সে স্থান থেকে বড় হবে, এটি একটি হাস্যকর বিষয়। সুতরাং যারা আল্লাহ তাআলাকে সর্বত্র বিরাজমান বলেন, তারাও আল্লাহ তাআলাকে সব জায়গার মধ্যে সীমিত করে দিয়েছেন। এদের বক্তব্য অনুযায়ী মহাবিশ্বের সীমা ও আল্লাহর সীমা একই হওয়া আবশ্যক হয়। আর মহান আল্লাহ তাআলা এগুলো থেকে সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।

(গ) তৃতীয় দলের বক্তব্য হলো, আল্লাহ তাআলা সকল স্থান ও জায়গা থেকে মুক্ত ও পবিত্র। রূপক অর্থে কখনো কোনো স্থানের দিকে আল্লাহ তাআলাকে সম্পৃক্ত করলেও এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ তাআলা উক্ত স্থানের সংরক্ষণ ও লালন-পালনকারী।’[12]  

5.         ইমাম আবু মানসুর মাতুরিদি রহ. আরও লেখেন :

‘আল্লাহ তাআলার অবস্থানের ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মূলনীতি হলো, যখন কোনো স্থান ছিল না, তখনো আল্লাহ তাআলা ছিলেন। কোনো জায়গার অস্তিত্ব না থাকলেও আল্লাহর অস্তিত্ব সম্ভব। আল্লাহ তাআলা অনাদি থেকে বিদ্যমান রয়েছেন। যেমন কোনো স্থানের অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও তিনি অবিনশ্বর রয়েছেন। মহান আল্লাহর সত্তা বা গুণাবলি পরিবর্তন-পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন, হ্রাস-বৃদ্ধি ও বিলুপ্তি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’[13]

6.         ইমাম আবুল লাইস সমরকন্দি রহ. বলেন :

‘আল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে কিছু লোক মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে। কাররামিয়া ও মুশাব্বিহাদের বক্তব্য হলো, আল্লাহ তাআলা স্থানগতভাবে আরশের ওপর রয়েছেন। তাদের নিকট নশ্বর আরশ হলো আল্লাহর অবস্থান বা অধিষ্ঠানের জায়গা। তারা স্থানের দিক থেকে আল্লাহ তাআলার জন্য এখান থেকে অবতরণ, চলাফেরা ইত্যাদি সাব্যস্ত করেছে। তারা বলে, আল্লাহ তাআলা দেহবিশিষ্ট। তবে তিনি অন্যান্য দেহবিশিষ্টদের মতো নন। মহান আল্লাহ তাদের এসব ভ্রান্ত আকিদা থেকে সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে। তারা তাদের মতবাদ প্রমাণে কুরআনের সুরা তহার ৫ নম্বর আয়াত ব্যবহার করে। তাতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর ইসতিওয়া করেছেন।

আমরা তাদের এই মতবাদ এভাবে খণ্ডন করি, আরশ এক সময় ছিল না। আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির মাধ্যমে তা অস্তিত্ব লাভ করেছে। এখন নশ্বর আরশের ওপর হয়তো আল্লাহ তাআলা নিজের ক্ষমতা, বড়ত্ব ও কর্তৃত্ব প্রকাশ করবেন অথবা নিজের বসার প্রয়োজনে সেখানে আসন গ্রহণ করবেন। অকাট্যভাবে প্রমাণিত সত্য হলো, অন্যের মুখাপেক্ষী কেউ কখনো স্রষ্টা হতে পারে না। সে তো নিজের প্রয়োজনেই অন্যের দ্বারস্থ। সে কীভাবে অন্যের ওপর ক্ষমতাবান হবে? অন্যের দ্বারস্থ ব্যক্তি তো নেতা হওয়ারই যোগ্য নয়। সে কীভাবে প্রতিপালক হবে? আরশে বসা বা এর ওপর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা যখন ভ্রান্ত প্রমাণিত হলো, তখন প্রথম সম্ভাবনাই সঠিক। অর্থাৎ আরশ আল্লাহর সৃষ্টি হওয়ার কারণে তা আল্লাহর ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের সামনে তুচ্ছ। এর প্রতি কোনোরূপ প্রয়োজন ব্যতীত আল্লাহ তাআলা নিজের কর্তৃত্ব ও বড়ত্ব প্রকাশ করেছেন।’[14]

7.         তিনি আরও বলেন :

‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা হলো, আল্লাহ তাআলা নিজের মহত্ব, বড়ত্ব ও প্রভুত্বের দিক থেকে আরশের ওপর সমুন্নত। স্থান, দূরত্ব ও উচ্চতার দিক থেকে তিনি আরশের ওপর সমুন্নত নন; যেমনটি ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন। তিনি আল্লাহর মর্যাদাগত সমুন্নত হওয়ার কথা বলেছেন। কেননা, মর্যাদা ও বড়ত্বের দিক থেকে সমুন্নত হওয়াটা মহান প্রতিপালকের গুণ।’[15]

8.        ইমাম আবুল ইয়াসার বাজদাবি রহ. লেখেন :

‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা-বিশ্বাস হলো, আল্লাহ তাআলা স্থান থেকে মুক্ত । তিনি আরশে বা অন্য কোনো স্থানে নন। তিনি আরশের ওপরও নন। আল্লাহ তাআলা সমস্ত দিক থেকেও সম্পূর্ণ মুক্ত। ভ্রান্ত আকিদায় নিপতিত কিছু হাম্বলি, কাররামিয়া, ইহুদি ও মুজাসসিমার আকিদা হলো, আল্লাহ তাআলা আরশে অবস্থান করেন বা অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন। তাদের কেউ কেউ বলে, অন্যান্য দেহবিশিষ্ট বস্তুর মতো আল্লাহ তাআলার ছয় দিক রয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলে, আল্লাহ তাআলার একটি দিক রয়েছে (ওপরের দিক)। আর এই দিকের কারণে তিনি আরশে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।[16]

9.         ইমাম গাজালি রহ. বলেন :

তুমি জাহাম ইবনু সাফওয়ানের আকিদাগত ভ্রান্তি থেকে বেঁচে থেকো। কিছু লোকের ভ্রান্ত বিশ্বাস হলো, আল্লাহ তাআলা সব জায়গায় রয়েছেন। যারা আল্লাহ তাআলাকে কোনো জায়গা অথবা দিকের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে, তাদের পদস্খলন হয়েছে। তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। তারা তাদের সমস্ত চিন্তাভাবনাকে জীব-জন্তুর ইন্দ্রীয় ক্ষমতার মধ্যেই কেন্দ্রীভূত করে রেখেছে। তাদের চিন্তাশক্তি দেহ ও দেহ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গণদি থেকেও মুক্ত হয়নি।[17]

এবার আমরা হানাফি মাজহাবের প্রখ্যাত ইমামগণের থেকে এ বিষয়ক আকিদা উদ্ধৃত করব :

 10.      ইমাম বদরুদ্দীন আইনি রহ. বলেন :

‘আবুল আলিয়া বলেছেন, (আল্লাহ তাআলার ক্ষেত্রে) ইসতাওয়া’র অর্থ হলো উঁচু হওয়া। তার এই ব্যাখ্যায় ত্রুটি রয়েছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা কখনো নিজের সম্পর্কে ইরতাফাআ বা উঁচু হওয়ার গুণ ব্যবহার করেননি। মুজাসসিমাদের (দেহবাদী) বিশ্বাস হলো, আল্লাহ তাআলা আরশের ওপর স্থির হয়েছেন বা স্থিতি গ্রহণ করেছেন। তাদের এই বক্তব্যটি ভ্রান্ত। কেননা, স্থির হওয়া বা স্থিতি গ্রহণ করা নশ্বর দেহের বৈশিষ্ট্য। এর দ্বারা কোনো কিছুর মধ্যে প্রবীষ্ট হওয়া ও সীমাবদ্ধ হওয়া আবশ্যক হয়। আল্লাহ তাআলার ক্ষেত্রে এগুলো অবাস্তব ও অকল্পনীয়।[18]  

11.       আল্লামা ইবনু নুজাইম রহ. বলেন :

‘আল্লাহর জন্য স্থান সাব্যস্তের কারণে কাফির হয়ে যাবে। কেউ যদি বলে, আল্লাহ তাআলা আকাশে রয়েছেন, এটা যদি সে হাদিসের বাহ্যিক বক্তব্য উদ্ধৃত করার উদ্দেশ্যে বলে, তবে সে কাফির হবে না। কিন্তু বাস্তবে যদি আল্লাহ তাআলা আকাশে রয়েছেন—এ ধরনের বিশ্বাস রাখে, তবে সে কাফির হয়ে যাবে। এ বক্তব্য দ্বারা যদি তার বিশেষ কোনো নিয়ত না থাকে, তবুও অধিকাংশের নিকট এটা কুফরি হবে। এটাই সঠিক এবং এর ওপরই ফাতওয়া।[19]

হুবহু একই ফাতওয়া মাসআলা হানাফি মাজহাবের বিখ্যাত ফাতওয়াগ্রন্থ ফাতওয়া আলমগিরিতেও বিবৃত রয়েছে।[20]  

12.       উলামায়ে দেওবন্দের অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত তাফসির ও হাদিস-বিশারদ আল্লামা আবদুল হক দেহলবি রহ. লেখেন :

‘আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও অবস্থানের জন্য কোনো স্থানের প্রয়োজন নেই। কেননা, দেহবিশিষ্ট ও স্থানিক বস্তুর জন্যই কেবল অবস্থানের জায়গার প্রয়োজন হয়। মহান আল্লাহ তাআলা দেহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র। সুতরাং তিনি আকাশে থাকেন না। তিনি জমিনেও অবস্থান করেন না। পূর্ব-পশ্চিম কোথাও তিনি থাকেন না। বরং সমগ্র মহাবিশ্ব তাঁর নিকটি অণু-পরমাণুতুল্য। সুতরাং তিনি এই ক্ষুদ্র সৃষ্টির মধ্যে কেন অবস্থান করবেন? তবে সৃষ্টির সবকিছুই আল্লাহর সামনে পূর্ণ উদ্ভাসিত। কোনো কিছুই তাঁর থেকে সুপ্ত বা অজ্ঞাত নয়। সকল স্থান ও জায়গা আল্লাহর নিকট সমান।[21]



[1] আল-ফিকহুল আবসাত : ৫৭

[2] আল-ওসিয়্যাহ : ২

[3] শারহুল ফিকহিল আকবার, মোল্লা আলি কারি

[4] সুরা হাক্কা : ১৭

[5] সুরা যুমার : ৭৫

[6] সুরা মুমিন : ৭

[7] সুরা আরাফ : ৫৪

[8] সুরা মুজাদালা : ৭

[9] সুরা কাফ : ১৬

[10] সুরা ওয়াকিআ : ৮৫

[11] সুরা জুখরুফ : ৮৪

[12] কিতাবুত তাওহিদ : ১৩১

[13] কিতাবুত তাওহিদ : ১৩২

[14] শারহুল ফিকহিল আবসাত : ২৫-২৬

[15] প্রাগুক্ত

[16] উসুলুদ দীন : ৪০

[17] আল-আরবাইন ফি উসুলিদ দীন : ১৯৮

আরও দেখুন—উসুলুস সারাখসি, শামসুল আয়িম্মাহ সারাখসি : ১/১৮৫; আল-মাবসুত, শামসুল আয়িম্মাহ সারাখসি : ৪/৭; আল-বিদায়াহ মিনাল কিফায়াহ ফিল হিদায়াহ ফি উসুলিদ দীন, ইমাম নুরুদ্দীন আহমাদ ইবনু মাহমুদ আস-সাবুনি : ৪৪-৪৫; মুশকিলুল হাদিস, ইমাম ইবনু ফুরাক : ৬৫; আল-ই‘তিকাদ ওয়াল হিদায়াহ ইলা সাবিলির রাশাদ, ইমাম বায়হাকি : ৭০; তাফসিরু ইবনি কাসির : ৩/৭; শারহুল আকায়িদিন নাসাফিয়্যা, আল্লামা সা‘দ তাফতাজানি : ১৩২; তাবসিরাতুল আদিল্লাহ, ইমাম আবুল মুইন নাসাফি : ১/৩২৫-৩২৬; শারহু মাতনিল আকিদাতিত তাহাবিয়্যা, কাজি শাইবানি : ৪৪; আল-হাদি ফি উসুলিদ দীন, ইমাম খুজান্দি : ৪৭; শারহুল আকিদাতিত তাহাবিয়্যা, আল্লামা আবদুল গনি মাইদানি : ৭৫; ফাতহুল বারি, ইবনু হাজার আসকালানি : ১/৫০৮; আল-ইওয়াকিত ওয়াল জাওয়াহির, ইমাম শা‘রানি : ১/৬৫; শারহুল ফিকহিল আকবার, মোল্লা আলি কারি : ৫৭; আল-মুসামারা শারহুল মুসায়ারা লিল ইমাম ইবনিল হুমাম, আল্লামা কামালুদ্দীন মাকদিসি : ৩০; আল-ই‘তিমাদ ফিল ই‘তিকাদ, ইমাম আবুল বারাকাত নাসাফি : ১৬৯; আল-হাদিয়্যাতুল আলাবিয়্যা, আল্লামা আলাউদ্দীন হানাফি : ৪২৬।

[18] উমদাতুল কারি : ২৫/১১১

[19] আল-বাহরুর রায়িক : ৫/১২৯

[20] ফাতওয়া আলমগিরি : ২/২৫৯

[21] আকায়িদুল ইসলাম : ৩২

Share This