ইহুদিরা শত শত বছর ধরে মদিনায় বসে শেষনবির প্রতীক্ষা করছিল। মৃত্যুর আগে তাদের পূর্ববর্তী বিশিষ্টজনরা পরবর্তীদের ওসিয়ত করে যেত, ‘তোমাদের জীবদ্দশায় তাঁর আগমন ঘটলে তোমরাই সর্বপ্রথম তাঁর অনুসারী হবে। অন্যরা যেন কোনোভাবেই তোমাদের ওপর অগ্রগামী হতে না পারে, সেদিকে গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ রাখবে। আর খবরদার, কখনোই সেই নবির বিরুদ্ধাচারণ করবে না।’

নিম্নশ্রেণি আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়কে এলিটশ্রেণি ইহুদিরা শাসাত এই কথা বলে, ‘শীঘ্রই শেষ নবির আবির্ভাব ঘটবে। তিনি সমগ্র আরবের ওপর প্রাধান্য লাভ করবেন। আমরাই হব তাঁর প্রধান সহচর। তখন তোমাদের সমুচিত শিক্ষা দেবো।’

অবশেষে এত প্রতীক্ষার পর যখন প্রিয়নবির আবির্ভাব ঘটল, এই ইহুদিরাই তাঁর প্রধান শত্রুতে পরিণত হলো। তারা তাদের আকাবিরদের ওসিয়ত শুধু লঙ্ঘনই করল না, বরং তার ঘোরতর বিরোধিতা করল, সম্পূর্ণ উলটো আচরণ করল। কিন্তু কেন? এর একটাই জবাব, একটাই কারণ। আসাবিয়্যাহ। জাত্যভিমান। গোত্রীয় জাতীয়তাবাদ।

হ্যাঁ, ঠিক এই একই কারণে আজকের যুগে আমরাও মাহদির প্রধান সহযোগীদের সঙ্গী হতে পারি না। এই একই কারণে মাহদির আবির্ভাবের পরও আমরা তাঁর সহচর হতে পারব না। যতদিন না দলান্ধতা, জাত্যভিমান, গোত্রীয় আসাবিয়্যাহ ও সর্বপ্রকার জাহিলিয়াত ত্যাগ না করব, ততদিন মাহদির দলে আমাদের নাম তালিকাভুক্ত হবে না কিছুতেই।

Share This