হানাফি মাযহাবের মাস’আলাসমূহের দলিল জানার জন্য কোন কিতাব দেখবেন? শুধু ‘হেদায়া’র যৌক্তিক (আকলি) দলিলগুলোকে মূল দলিল ভেবে বসলে তো অযথাই বিভ্রান্ত হবেন। তবে পাবেন কোথায় এতো অজস্র মাস’আলার দলিল? দু’ছরের ফতোয়া-চর্চার অভিজ্ঞতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলোর তালিকা পেশ করছি। দলিলের প্রয়োজনে এসব কিতাবের ওপর নির্ভর করবেন। আর সে সুযোগ না হলে অন্তত এ বিশ্বাস রাখবেন, হানাফি মাযহাবের মাস’আলাগুলো বিবেকপ্রসূত নয়। বরং সব মাস’আলার রয়েছে সুদৃঢ় ও শক্তিশালী দলিল।
১.কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ
২.কিতাবুল হুজ্জাহ, ইমাম মুহাম্মাদ
৩.আলমুয়াত্তা, ইমাম মুহাম্মাদ
৪.শরহু মা’আনিল আসার, তহাবি
৫.শরহু মুশকিলিল আসার, তহাবি
৬.ই’লাউস সুনান, যফর আহমদ উসমানি
৭.যুজাজাতুল মাসাবিহ, হায়দারাবাদি
৮.আললুবাব ফিল জাম’য়ী বাইনাস সুন্নাতি ওয়াল কিতাব, ইমাম মামবাজি
৯.উকুদুল জাওয়াহিরিল মুনিফা
১০.নাছবুর রায়াহ, জামালুদ্দীন যায়লা’য়ী
১০.আহকামুল কুর’আন, জাসসাস
১১.আহকামুল কুর’আন, ইবনে আরাবী
১২.আততাজরিদ, ইমাম কুদুরি
১৩.আলমুছান্নাফ, আব্দুর রাজ্জাক সান’আনি
১৪.আলমুছান্নাফ, ইবনে আবি শায়বা
১৫.আলমুগনি, ইবনে কুদামা
১৬.আলআওসাত, ইমাম মুনযিরি
১৭.শরহু মুখতাছারিত তহাবি, জাসসাস
১৮.আলমুহাল্লা, ইবনে হাজম
ফিরিস্তি আরো দীর্ঘ। সব উল্লেখের প্রয়োজনও নেই। উপরিউক্ত কিতাবগুলো থেকে আপনি সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত মাস’আলার দলিল দেখে নিতে পারেন। অযথাই হানাফি মাযহাবকে কিয়াস-নির্ভর ভেবে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। জাযাকাল্লাহ।