শুরুর কথা
হানাফি মাযহাবের একজন আলিম অনুসারী হিসেবে প্রত্যেকের উচিত হানাফিফিকহের নতুন-পুরনো গ্রন্থাদিরর সাথে পরিচিত হওয়া, কোন কিতাবের কী মান, এসবের থেকে ইস্তেফাদার কী তরিকা তা জানা; বিশেষত যারা ভবিষ্যতে ফিকহ-ফতোয়ার চর্চায় নিজেকে ব্যতিব্যস্ত করতে চায় তাদের জন্য তো রীতিমতো অপরিহার্য বিষয় এটা।
কীভাবে পরিচিত হবো হানাফি ফিকহের কিতাবাদির সাথে?
প্রত্যেক কিতাবের জন্য আলাদা আলাদা তা’আররুফ জরুরি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কিতাবের পূর্ণ নাম, মুছান্নিফের নাম ও মৃত্যু-সন দেখা; কিতাবের সূচিপত্রে নজর বুলানো; কিতাবের মাছাদির-মারাজি’অ জানা; মুছান্নিফ ও মুহাক্কিকের মুকাদ্দিমা গভীর মনোযোগের সাথে পড়া; কিতাবের দুয়েকটি অধ্যায় সামান্য হলেও পড়া; মুছান্নিফের তরয বোঝা; এ কিতাবের ওপরে যদি কোনো “দিরাসাহ” থাকে তা পড়া।
কোন কোন কিতাবের তা’আররুফ করবো? সব কিতাব তো হাতের নাগালে নেই। কীভাবে তবে সেগুলোর সম্পর্কে জানবো?
তাআররুফের একটি সহজ ও সহায়ক পন্থা
আপনি নিম্নলিখিত কিতাবগুলোকে গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে হানাফি ফিকহের কিতাবের সাথে ইজমালি (সংক্ষিপ্ত) তাআররুফ-পরিচয় এবং মৌলিক একটা ধারণা হবে ইনশা’আল্লাহ।
সহায়ক গ্রন্থাদি
১.আননাফিউল কাবির, লাখনবি রহ. প্রণীত, যা ইমাম মুহাম্মাদের আলজামিউস সাগিরের ভূমিকা। আলাদাভাবেও পাওয়া যায়। মাকতাবায়ে শাইখুল ইসলাম রহমানিয়া থেকে ছেপেছে। জামিয়া রাহমানিয়ার উস্তাদ মুফতি হিফজুর রহমান সাহেবের কাছে তা পাওয়া যাবে। তিনি সামান্য কাজ করেছেন ভূমিকার ওপরে।
২.আললুবাব, সাঈদ বাকদাশের তাহকিককৃত নুসখার ভূমিকা।
৩.আলমুহিতুল বুরহানি, নাঈম আশরাফের তাহকিককৃত নুসখার ভূমিকা।
৪.আলমাযহাবুল হানাফি, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দদিন আননাকিব প্রণীত, এর দ্বিতীয় খণ্ড। কিতাবটি অনেক সুন্দর। হানাফি মাযহাবের কিতাব নিয়ে “দিরাসাহ” করেছেন পূর্ণ একখণ্ড জুড়ে। পাঠক Google থেকে এর pdf কপি Download করে নিতে পারেন।
৫.উসুলুল ইফতা, তকি উসমানি দা. বা. রচিত। সাথে মাকতাবাতুল আযহার থেকে প্রকাশিত মালিবাগের মুফতি হারুন সাহেবের হাশিয়া আলফাতহুর রাব্বানির সূচিপত্রের সহযোগিতা নেয়া হলে অনেক কিতাবের তা’আররুফ পাওয়া যাবে তাতে।
এ হচ্ছে প্রাথমিক কিছু নির্দেশনা। এ অনুযায়ী আমল করে কোনো ভাই উপকৃত হলে পরবর্তীতে আরো কিছু রাহনুমায়ির প্রয়াস পাবো ইনশা’আল্লাহ।
جزاك الله خيرا