(এ বিষয়ে আলোচনা করাটা তবিয়তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বলা যায় আমার স্বভাব-প্রকৃতি বিরোধী। কিন্তু অনন্যোপায় হয়েই আজ লিখতে বসা। এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। কিন্তু লজ্জাষ্কর বিষয় হওয়ায় প্রায় সবাই এড়িয়ে যান। বর্তমান দেশি আলিমদের মধ্যে মাওলানা লুতফুর রহমান ফরায়েজী সাহেব ছাড়া প্রসিদ্ধদের আর কেউ এ বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। এক্ষেত্রে তার ফতোয়াটাকেও তেমন একটা ভারি মনে হয়নি। শুধু এ যুগের মুফতিগণই নন, বরং পূর্ববর্তী ফকিহগণের স্বল্প সংখ্যকই এ ব্যাপারে কিছু বলেছেন। সাধারণ মানুষদের কার্যকলাপ দেখলে বোধ হয়, তারা একেকজন এটাকে একেকভাবে বিশ্লেষণ করে নিয়েছেন। কোরআন সুন্নাহ ফিকহের আলোকে এ বিষয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। আল্লাহ তাআলাই তাওফিকদাতা। যাদের মনে আগে থেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন এবং অনুসন্ধিৎসা জাগ্রত রয়েছে, তারাই শুধু এ লেখার উদ্দেশিত পাঠক।)

এখানে ওরাল সেক্স বলতে বোঝানো হচ্ছে— মুখ গহ্বর কিবা জিহ্বা দ্বারা একে অপরের যৌনাঙ্গ চোষা (Suck করা) বা লেহন করা। উল্লেখ্য, যৌনাঙ্গে সাধারণভাবে মুখ ছোঁয়ানো অর্থাৎ চুমু দেয়া আর জিহ্বা দ্বারা স্ত্রীর যৌনাঙ্গের ভেতরাংশ কিবা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর যৌনাঙ্গ মুখের ভেতরে নিয়ে Suck করা এক বিষয় নয়। অনেককে দেখা যায়, খুব স্বাভাবিকভাবেই ফকিহগণের এক জায়গার বক্তব্য অপর জায়গায় প্রয়োগ করে বিধান বর্ণনা করে দেন। অথচ উপরিউক্ত দ্বিতীয় বিষয়টা আরেকটু গভীর এবং জটিল।

 

প্রাসঙ্গিক আলোচনা

 

১. স্বামী স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গ দেখা জায়িয হলেও তা অনুত্তম। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন—

إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ فَلْيَسْتَتِرْ وَلاَ يَتَجَرَّدْ تَجَرُّدَ الْعَيْرَيْنِ

তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে, তখন সে যেনো আবৃত থাকে, গাধা যুগলের মতো যেনো একেবারে নগ্ন না হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ— ১/৬১৯, ১৯২১}

আম্মিজান আয়িশা রা. বলেন—

مَا رَأَيْتُهُ مِنْ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ رَآهُ مِنِّي

আমি রাসুলুল্লাহর সা. এর থেকে তা কখনো দেখিনি এবং তিনিও আমার থেকে কখনো তা দেখেননি। {সুনানে ইবনে মাজাহ— প্রাগুক্ত; জামউল ওয়াসায়িল ফি শারহিশ শামায়িল। বুসিরি রহ. মিসবাহুয যুজাজাহ (১/৩৩৭) গ্রন্থে উভয় হাদিসকে যয়িফ বলেছেন। তবে একাধিক হাদিস থেকে এ বিষয়ে প্রমাণ মেলে।}

 

২. এ ব্যাপারে ফকিহগণের ঐকমত্য রয়েছে যে, যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা কোনো প্রকার কারাহাত ছাড়াই জায়িয। ফাতাওয়া শামিতে বলা হয়েছে—

سَأَل أَبُو يُوسُفَ أَبَا حَنِيفَةَ عَنِ الرَّجُل يَمَسُّ فَرْجَ امْرَأَتِهِ وَهِيَ تَمَسُّ فَرْجَهُ لِيَتَحَرَّكَ عَلَيْهَا هَل تَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا؟ قَال: لاَ، وَأَرْجُو أَنْ يَعْظُمَ الأْجْرُ .

ইমাম আবু ইউসুফ আবু হানিফা রহ. কে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, যে তার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে এবং স্ত্রী তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে, যেনো স্ত্রীর ওপর স্বামীর প্রবল আকর্ষণ জাগে— আপনি কি তাতে কোনো সমস্যা দেখেন? ইমাম আবু হানিফা রহ. বললেন, না, বরং আমি আশা করি, তাদের প্রতিদান আরো বেড়ে যাবে। {দেখুন— ফাতাওয়া শামি— ৫/২৩৪; মাওয়াহিবুল জালিল— ৩/৪০৬; আলখিরাশি আলা মুখতাসারিল খালিল— ৩/১৬০; ইআনাতুত তালিবিন— ৩/৩৪০; আলমাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আলকুয়েতিয়্যা, ফারজুন শব্দের অধীনে}

হাম্বলি ফকিহগণ আরো একধাপ অগ্রসর হয়ে লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার বৈধতার কথাও বলেছেন। তবে তা সহবাসের আগে, পরে নয়। {কাশশাফুল কিনা’— ৫/১৬-১৭}। কারণ তো স্পষ্ট। কেননা সহবাসের পরে সে জায়গায় নাপাকি থাকবে। আর নাপাকির ওপর চুমু দেয়ার বৈধতার কথা কেইবা বলবেন!

 

এবার আমরা মূল আলোচনায় আসি।

 

কোনো বিষয় হারাম হওয়ার জন্য সুস্পষ্ট নস (কোরআনের আয়াত বা সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হাদিস) থাকা জরুরি। লজ্জাস্বানে চুমু দেয়া বা Suck করার নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোরআন হাদিসে কোনো কথাই পাওয়া যায় না। সুতরাং বিষয়টিকে অকাট্য হারাম বলার সুযোগ নেই। হাঁ, বাকি থাকলো মাকরুহে তাহরিমি এবং নাজায়িয বলা যাবে কি? (উল্লেখ্য, মাকরুহ দুই প্রকারঃ ১. মাকরুহে তাহরিমি— যা সম্পূর্ণ নাজায়িয। ২. মাকরুহে তানযিহি— যা থেকে বিরত থাকা উত্তম, তবে কেউ তাতে একান্ত লিপ্ত হলে গুনাহগার হবে না।)

 

ফিকহের স্বীকৃত মূলনীতি হলো—

الأصل في العادات/الأشياء الإباحة حتى يأتي دليل التحريم

যে কোনো বিষয়ে মূল অবস্থা হলো বৈধতা, যতোক্ষণ না নিষিদ্ধতার দলিল পাওয়া যায়।

 

সহবাসের ক্ষেত্রে শরিয়ত পায়ুপথে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়াকে হারাম করেছে। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন—

إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ، فَلاَ تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ.

এ ছাড়া সহবাস সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে শরিয়ত নীরব। তাহলে স্বাভাবিক হলো, যে কোনো পন্থায় স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়াই বৈধ হবে। সুরা বাকারার ২৩৩ নাম্বার আয়াত থেকেও এ কথার প্রমাণ মেলে।

 

এবার আমরা দেখি, ওরাল সেক্সের নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোনো দলিল রয়েছে কিনা।

 

মেডিকেল সায়েন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক বিশেষজ্ঞই এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন— ওরাল সেক্স মানব্যস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং মানবদেহে অনেক রোগের জীবাণু উৎপত্তি ও সংক্রামণের কারণ। তারা এর ক্ষতির অনেক দিক উল্লেখ করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয় দ্রষ্টব্য।

তাদের এই মতামতের ওপর ভিত্তি করে শায়খ ড. মুহাম্মাদ আদদাসুকি ওরাল সেক্সকে নাজায়িয বলেছেন। কেননা শরিয়তের মূলনীতি হলো—  لا ضرر ولا ضرار

চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অভিমতটি প্রমাণিত হলে ওরাল সেক্স নিষিদ্ধই সাব্যস্ত হবে। হাঁ, যারা এই অভিমতটি জানেন না বা মানেন না, তারা পূর্বোক্ত মূলনীতির আলোকে ওরাল সেক্সের বৈধতার কথা বলেছেন। ড. ইউসুফ কারজাবি এবং ড. আলী জুমআ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়াকে বৈধ মনে করেন। তবে ড. ইউসুফ কারজাবিও মুখে বীর্যস্খলনের উদ্দেশ্যে হলে তা মাকরুহ মনে করেন।

ড. ইউসুফ কারজাবির পুরো বক্তব্য এই—

وقد أجاز الفقهاء تقبيل الزوجة فرج زوجها ولو قبَّل الزوج فرج زوجته هذا لا حرج فيه، أما إذا كان القصد منه الإنزال فهذا الذي يمكن أن يكون فيه شيء من الكراهة،ولا أستطيع أن أقول الحرمة لأنه لا يوجد دليل على التحريم القاطع، فهذا ليس موضع قذر مثل الدبر، ولم يجئ فيه نص معين إنما هذا شيء يستقذره الإنسان، إذا كان الإنسان يستمتع عن طريق الفم فهو تصرف غير سوي، إنما لا نستطيع أن نحرمه خصوصاً إذا كان برضا المرأةوتلذذ المرأة (وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ * الا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ * فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ) المؤمنون : 5- 7. فهذا هو الأصل

ড. আলী জুমআর বক্তব্য—

ويجوز للرجل والمرأة الاستمتاع بكل أنواع التلذذ فيما عدا الإيلاج في الدبر؛ فإنه محرم أما ما ورد في السؤال من المص واللعق والتقبيل وما لم يرد من اللمس والجنس الشفوي عبر الكلام فكله مباح

ইমাম মালিক রহ. সূত্রে এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, তিনি বলেন, সহবাসের সময় স্বামী স্ত্রীর লজ্জাস্থান চুষতে পারে। প্রসিদ্ধ মালেকি ফকিহ হাত্তাব রহ. বলেন, স্পর্শের বৈধতার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে এমন বলা হয়েছে। এটা তার বাহ্যিক অর্থে নয়। (অর্থাৎ হাত্তাব রহ. লজ্জাস্থান Suck করাকে বৈধ মনে করেন না।) { মাওয়াহিবুল জালিল— ৩/৪০৬; আলখিরাশি আলা মুখতাসারিল খালিল— ৩/১৬০}

শাফেয়ি ফকিহ ফানানি রহ. বলেন, নিতম্বের বৃত্ত বাদ দিয়ে স্বামীর জন্য স্ত্রীকে সব উপায়ে ভোগ করা জায়িয, যদিও তার লজ্জাস্থান চুষেও হয়। {ইআনাতুত তালিবিন— ৩/৩৪০} শাফেয়ি মাযহাবের অন্যান্য

হাম্বলি মাযহাবের উল্লেখযোগ্য ফকিহগণ এ বক্তব্যকে বাহ্যিক অর্থে নিয়েছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায় না।

আমাদের আকাবিরগণ এই মাসআলার ব্যাপারে অনেক কঠোরতা করেছেন। আহসানুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, ফাতাওয়া রাহিমিয়া প্রভৃতিতে ওরাল সেক্সকে নাজায়িয বলা হয়েছে, এমনকি এটাকে পশুত্বের নিদর্শন বলেও অভিহিত করা হয়েছে। (উল্লেখ্য, অধুনা জীববিজ্ঞানের সূত্রে অনেক পশুর মধ্যে ওরাল সেক্সের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে।  Stacey Grenrock রচিত Do Animals Have Oral Sex বইয়ে এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা পাওয়া যাবে।)

ফাতাওয়া হিন্দিয়াতে হানাফি ফকিহগনের দু’ধরনের অভিমতই ব্যক্ত করা হয়েছে। কেউ বলেছেন, মাকরুহ আর কেউ বলেছেন, মাকরুহ নয়। এছাড়া হানাফি ফিকহের অন্যান্য কিতাবাদিতে এ নিয়ে তেমন একটা আলোচনা চোখে পড়ে না।

 

ওরাল সেক্সের কদর্যতার আরো কিছু প্রমাণ—

 

১. লজ্জাস্থান Suck করা হলে স্বাভাবিক হলো, লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না। আর নাপাক চুষে ফেলা বা পান করাকে তো বৈধ বলার প্রশ্নই আসে না।

২. মানুষের শরীরের সবচে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান Suck করা বড় গর্হিত কাজ।

৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

 

সারকথা

 

মূলনীতির আলোকে দেখা হলে ওরাল সেক্স নাজায়িয প্রমাণিত হয়। ফকিহগণের যারা জায়িয বলেছেন, তাদের বক্তব্য থেকেও সর্বোচ্চ যা অনুমিত হয়, তা হলো, লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার বৈধতা। এই বৈধতার বিষয়টিকেই কেউ অধিক গুরুত্বের সঙ্গে বর্ণনা করতে গিয়ে চোষা শব্দ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য থেকেও সাধারণত অন্যরা সেই বাহ্যিক অর্থ না নিয়ে শুধু স্পর্শ করা ও চুমু দেয়ার কথাই বুঝেছেন। যদি চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে রোগের জীবাণু সংক্রমণের বিষয়টি প্রমাণিত না হয়, তাহলে যে-সকল ফকিহের থেকে বৈধতার অভিমত বর্ণিত হয়েছে, তাদের বক্তব্যের আলোকে সর্বোচ্চ সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে লজ্জাস্থানে চুমু দেয়াকে জায়িয বলা যেতে পারে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক লাগানোকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না। তাই তাদের বক্তব্য থেকে ওরাল সেক্সকে জায়িয বলার চেষ্টা করা নির্বুদ্ধিতা বৈ কিছু নয়। কেউ যদি এই গণ্ডির মধ্যে থাকতে পারে, তাহলে তার জন্য সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার অবকাশ গণ্য করা যায়, যদিও উত্তম হবে তা-ও পরিহার করা। তবে এটাকে অভ্যেসে পরিণত করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। এসব কারণেই আমাদের আকাবিরগণ কঠোরভাবে এ থেকে বারণ করেছেন। মানুষের সুস্থ স্বাভাবিক স্বভাব-প্রকৃতিও বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়ার কথা নয়। হাঁ, যাদের স্বভাব বিকৃত হয়ে যায়, তারা তো কতো জঘন্য কাজই করে। পজিশন 69 এ মেতে ওঠাকে যে-সকল দম্পতিরা যৌন-সম্ভোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে, তাদের রুচির বিশুদ্ধতা এবং স্বভাব-প্রকৃতির সুস্থতা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে যদি রোগের জীবাণু সংক্রমণের বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে আর চুমু দেয়াকেও বৈধ বলার অবকাশ নেই। আমি সংক্ষিপ্তসারে যতোটুকু অধ্যয়ন করেছি, তাতে আমার সামনে প্রতিভাত হয়েছে, মেডিকেল সায়েন্সের অনেক বিশেষজ্ঞের কাছেই ওরাল সেক্সের মাধ্যমে রোগের জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি সংশয় ছাড়াই প্রমাণিত।

Share This